পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সন্নিধ্যে ইত্যাদিতে অতিবাহিত করিতেন । এই ঘটনার পর হইতে বাস্তবতঃ তঁহার সহিত সমাজের প্ৰত্যক্ষ যোগাযোগ ছিন্ন হইয়া যায়, তিনি সব দায়িত্ব র্তাহার সন্তান ও বন্ধু-বান্ধবদের উপর ন্যস্ত করেন । আমার সহিত মহৰ্ষির তখন সবেমাত্র পরিচয় হইয়াছে, তেমন কিছু ঘনিষ্ঠত জন্মে নাই। আদি ব্ৰাহ্মসমাজের উপর তখনও আমার বিশ্বাস ও নির্ভরতা অধিক মাত্রায় বিদ্যমান। ইহাব একটি কারণও ছিল । আমার পিতৃপুরুষ ছিলেন শাক্ত এবং শৈশব হইতে শক্তি উপাসনা দেখিয়া বৈষ্ণবধৰ্ম্মের আচার অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমার কিছুটা অনাস্থা ছিল। এই সময় কেশবচন্দ্রের অধিনায়কত্বে নূতন ব্ৰাহ্মসমাজে খোল করতালসহ বৈষ্ণবদের মত কীৰ্ত্তনের প্ৰথা প্ৰবৰ্ত্তিত হইলে উহা আমি মনের দিক দিয়া সমর্থন করিতে পারি নাই। তাছাড়া, শ্ৰদ্ধেয় দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের সমর্থন ও হেমচন্দ্ৰ বিদ্যারত্ব মহাশয়ের প্রভাবে এ মনোভাব আরও দৃঢ় না হইয়া পারে নাই। ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে আমার সতীর্থ বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর সহিত আমি কয়েকবার নববিধান সমাজের উপাসনা সভায় যোগদান করি এবং কেশব সেনের বক্তৃতা শুনিয়া মুগ্ধ হই । তাহার পর ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে ব্ৰহ্মবান্ধব কেশব সেনের উৎসাহে অনুপ্ৰাণিত । হইয়া লিখিতভাবে আমি ঐ সমাজের অন্তভুক্ত হই। এই কয়েক বৎসরের মধ্যে মহৰ্ষির সহিত আমার যুদ্ষ্টে MOR