পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে পিতামহীর মৃত্যুর শোক তঁহাকে স্পর্শও করিতে পারিল না, এক অপূৰ্ব আনন্দানুভূতিতে তাহার সমগ্ৰ চিত্তটি পূর্ণ হইয়া রহিল। শবসৎকারান্তে সকলোব সহিত বালক দেবেন্দ্রনাথ গুহে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। কিন্তু ইহার পর সমস্ত পরিপার্শ্ব ও ধন সম্পদের প্রতি তাহার এক নিন্দাসক্তি আড়িয়া গেল। এই সময়ে নিরবচ্ছিন্ন আনন্দস্রোতের মধ্যে থাকিয়া বালক দেবেন্দ্রনাথ অন্ধকারে মাঝে মাঝে জ্যোতিদৰ্শন করিতেন । কয়েকদিন এইকপ আবিষ্ট অবস্থাবা : ধ্যে অতিবাহিত হয় । ইহার পাব। অকস্মাৎ একদিন এষ্ট আনন্দস্রোত তাহার চিত্ত হইতে অন্তহিত হইল। তিনি আমাকে বলিয়া ছিলেন, এ অস্তদ্ধিানের প্রকৃত কারণ তিনি বাঝেন নাই ! যাহাই হউক, এই আনন্দ প্ৰবাহ রুদ্ধ হওয়ায় তাহার চিত্তে যে বেদন ও ব্যাকুলত দেখা দিল তাহ আবর্ণনীয় । জীবনের সস, স্ত আনন্দ, আকর্ষণ ও যেন তখন নিষ্ক্রান্ত হইয়া গোল । প্রতিদিনের নিয়মিত কৰ্ত্তব্যে দেখা দিল অবহেলা । বন্ধুবান্ধবগণ বার বার অসিয়া প্ৰত্যাখ্যাত হইয়া যায়, এক মৰ্ম্মান্তিক যাতনায় বালক রুদ্ধ কক্ষে দিনের পর দিন স্তব্ধভাবে বসিয়া থাকেন। নানা কৰ্ম্মে তাহার বিস্মৃতি আসে । আহারাদি করিবার পল মুহুর্ভেই তিনি সে কথা ভুলিয়া যান। হতাশা ও ব্যাকুলতার তাড়নায় একদিন তিনি বোটানিক্যাল গার্ডেনে নির্জন বসেব জন্য গমন করেন । যে আনন্দ লাভ করিয়া আধারের মধ্যে তিনি আলোক দোঁ- তেন, সে প্রবাহ NOM