পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুব দেবেন্দ্ৰনাথ আদালতের উদ্দেশে গৃহ হইতে বাহির হইলেন । সে এক চাঞ্চল্যকর দৃশ্য ! পুব নারীদের উচ্চ ক্ৰন্দনে গুহের বাতাস ভারাক্রান্ত হইয়া উঠিয়াছে । উদভ্ৰান্ত রমানাথ ঠাকুর মহাশয় শেষবারের মত ভ্রাতুষ্পপুত্রকে সুঙ্গুল্প হইতে প্ৰতিনিবৃত্ত করাব চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হক্টলেন । এবার তিনি ক্ৰোধে আত্মহারা হইয়। চিৎকার করিয়া উঠিলেন, “যাক এ বাড়ীর কোন ব্যাপারে আর আমি কিছু বোলবো না ।” অতঃপব উত্তেজিত অবস্থায় সবেগে তিনি গুঠি ঠাইতে বাহির হইয়া গেলেন। সমগ্ৰ বিবৰ্গদে পরিবেশটি দেবেন্দ্ৰনাথকে মৰ্ম্মান্তিক ভাবে পীড়িত করিতেছে। কিন্তু তিনি ইহা ও জানেন যে, পিতৃঋণ পরিশোধ না কবিলে তিনি স শুভ্ৰষ্ট হ'ষ্ট বেন । সুতরাং বাহিব তষ্টতে যােত বিবরুদ্ধতাই আসুক, আদর্শ র্তাহাকে রক্ষা করিতেই হইবে । অন্তবে শক্তি সঞ্চা বের জন্য তিনি ব্যাকুলভাবে ঈশ্বরের কৃপা প্ৰাৰ্থনা করিতে লাগিলেন । ঈশ্বরের অপার ককণা ! দেবেন্দ্ৰনাথের বেদনাহত আন্তরে এক অদ্ভুত ঐশী শক্তি সঞ্চারিত হইল। সর্ব সংশয় কাটিয়া গিয়া মুহুৰ্ত্তমধ্যে তাঁহার সত্যদৃষ্টি উন্মুক্ত হইল।--তিনি বুঝিলেন, সত্যপালন ভিন্ন জীবনের অপর কোন অর্থ নাই, মূল্যও নাই । শান্ত অবিচলিত চিত্তে তিনি সমগ্র সম্পত্তির তালিকাখানি বিচারকের সম্মুখে তুলিয়া ধরিলেন । সত্যনিষ্ঠার এ প্রত্যক্ষ রূপ দেখিলার সৌভাগ্য ইতিপূর্বে 8 y