পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর করে ও রোগের সমস্ত যন্ত্রণা অপসৃত করিয়া দেয় । সেই কয়েকটি ছত্র তঁহার সমস্ত দেহমানকে এক অনাস্বাদিতপূর্ব অনুভূতির স্পর্শে ধন্য করে। অতঃপর সঙ্কট অতিক্ৰম করিয়া তিনি সুস্থ হইয়া উঠেন। মহৰ্ষির সাধনা এরূপ সার্থকতা লাভ করিয়াছিল যে, মৃত্যুশয্যায় শায়িত থাকিয়া ও তাহার অধ্যাত্ম্যরস সম্ভোগ বিঘ্নিত হয় নাই। অবশ্য র্তাহার জীবনের শেষভাগে দেখা যাইত, অধিকাংশ সময়েই তিনি ভাবাবস্থার মাঝে আত্মহারা হইয়া থাকিতেন । এ সম্পর্কে এক কাহিনী একবার শ্রদ্ধেয় রাজনারায়ণবাবুর নিকট শুনিয়াছিলাম । একবার কোন্নগরের বিশিষ্ট নাগরিক বাবু শিবচন্দ্ৰ দেব স্থানীয় ব্ৰাহ্মসমাজের বাৎসরিক উৎসব উপলক্ষে কলিকাতার ব্ৰাহ্মদের নিমন্ত্রণ করেন । আমি ও সেবার কােব উৎসবে উপস্থিত হই। এই অনুষ্ঠানে মহর্ষির সভাপতিত্ব করিবাব কথা। নির্দিষ্ট দিনে সন্ধ্যার সময় আমরা সকলেই তাহাব আগমন প্ৰতীক্ষা করিতেছি এমন সময় তিনি জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ও শ্ৰীযুক্ত রাজনারায়ণ বসুর সহিত উপস্থিত হইয়া অনুষ্ঠানে যোগদান করিলেন । অনুষ্ঠান ও প্ৰীতিভোজের পর দ্বিজেন্দ্ৰনাথ পিতাকে লইয়া কলিকাতায় ফিরিবার জন্য প্ৰস্তুত হইতেছেন । রাজনারায়ণ বাবুর সে রাত্রে কলিকাতা ফিরিবার ইচ্ছা নাই, অথচ মহৰ্ষিকে 8 8