পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর মনে মনে ভাবিতে লাগিলাম, মহৰ্ষির মত রসিক, বাকপটু ব্যক্তি কোনু অপার্থিব আনন্দ-লোকের সন্ধান পাইয়া একাধিক দিবস এরূপ মৌনী অবস্থায় অতিবাহিত করেন ? মহর্ষি অধ্যাত্মারসে এরূপ মগ্ন হইয়া যাইতেন যে, সেসময়ে তঁহার নিকট বিশ্বের অপর কোন বস্তুই অধিক প্ৰিয় বলিয়া পরিগণিত হইত না । তঁহার আবাল্য বন্ধুদের নিকট হইতে শুনিয়াছি যে, অধ্যাত্মিজীবন সুক হওয়ার পূর্বে তিনি অধিক সময়ই বন্ধুবান্ধব লইয়া হাসিগল্পের মধ্যে অতিবাহিত করিতেন কিন্তু জীবনের নূতনতর অধ্যায় সুরু হইবাব পর হইতে নির্জনতাই পছন্দ করিতেন বেশী, এমন কি অন্তরঙ্গ বন্ধুদের সঙ্গও পরিহার করিতে ইতস্ততঃ করিতেন না। আমার নিজেরই এসম্পর্কে প্ৰত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রহিয়াছে। একবার কোন্নগর ব্ৰাহ্মসমাজের এক অধিবেশনে মহৰ্ষিকে সভাপতি নির্ববাচিত করা হয় । আমি সেই সভায় বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলাম। যথাসময়ে মহর্ষি নৌকাযোগে কোন্নগরে BDB TBBD DD ES DBLEB DBt DDBD DBDDB নৌকায় গমন করি। র্তাহার সঙ্গলাভের জন্য একটি আকাজক্ষা শিশুকাল হইতেই আমার মনে বাসা বঁধিয়াছিল তাহা পূর্বেই বলিয়াছি । তিনিও আমায় যথেষ্ট স্নেহ করিতেন তাহাও জানিতাম। কিন্তু নৌকায় আসিয়া ভঁাহার যে পরিচয়টি পাইলাম, সে অভিজ্ঞতা আমার নিকট সম্পূর্ণ নূতন । ( S)