পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদেব সান্নিধ্যে সেদিন ছিল পূর্ণিমা। স্থির গঙ্গাবক্ষে চন্দ্রালোক প্ৰতিফলিত হইয়া এক স্বপ্নরাজ্যের সৃষ্টি করিয়াছে। মহষির সহিত আমি বজরার ছাদে আসিয়া বসিলাম । ইচ্ছা।--তাহার নিকট হইতে অধ্যাত্মিসাধনার রহস্য বা তথ্যাদি কিছু শ্রবণ করিব। কিন্তু তাহার চি ও তখন নির্জনতাপ্ৰয়াসী, চক্ষু দু'টি নির্মীলিত। আমার সহিত মাত্র দুই একটি কথা। বলিয়াই তিনি স্তব্ধ হইয়া গেলেন এবং আমায় নীচে যাইতে বলিলেন । বোধ হইতে লাগিল, সম্মুখে বসিযা ও তিনি যেন বহুদূরে অবস্থান করিতেছেন । ধীরে ধীরে অামি বজাবার ভিতরে ফিরিষা আসিলাম । আর একবার আমি ও আমার বন্ধু আনন্দমোহন বসু মহর্ষির সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য শান্তিনিকেতনে গমন করি । মহাষি তখন শান্তিনিকেতনে নিভৃত জীবন যাপন করিতেছেন । রাত্ৰে আহারাদির পর আমরা তাহার নিকট কিছু শুনিব, এই ইচ্ছা প্ৰকাশ করিলাম । তিনি কিন্তু সে কথাবা কোন গুৰুত্ব না। দিয়া বরং আমাদের শয়ন করিবার জন্য আদেশ করিলেন । আমরা বিনা বাক্যব্যয়ে নীচে নামি যা আসিলাম ও দুই বন্ধুতে বহুক্ষণ আলাপ আলোচনার পর শয়ন কবিতে গোলাম । যাইবার সময় লক্ষ্য করিলাম, মহৰ্ষি তাহার কক্ষ সংলগ্ন বারিানদায় একাকী পদচারণা কবি তেছেন । সেদিন ও ছিল ভে ব্যাৎ সুন্নাপ্লাবিত রাত্ৰি। চন্দ্ৰলোকে সমস্ত প্ৰকৃতি যেন মায়ালোক সৃষ্টি করিতেছে। শয়নকক্ষের উন্মুক্ত গবাক্ষপথে মহষির ভাবশ্লিষ্টভার R