পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে বুঝিলাম তিনি অনন্ত আনন্দ-পথযাত্রী, আমাদের নমস্য । মহর্ষি ধ্যান ধারণায় যেমন অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করিতেন, তেমনি আবার দৈনন্দিন আনুষ্ঠানিক কৰ্ত্তব্য সম্পর্কে ও র্তাহার অগাধ বিশ্বাস ছিল । প্ৰত্যেক পরিবারে প্রতিদিন সম্মিলিত প্ৰাৰ্থন অনুষ্ঠানের জন্য সকল সময়েই তিনি গুরুত্ব আরোপ করিতেন । নিজে ও তিনি ধ্যান ধারণা ব্যতীত প্ৰতিদিন ব্ৰাহ্ম মুহূৰ্ত্তে বিশ্ব পিতাকে স্মরণ ও প্রার্থনা করিয়া দিনের কৰ্ম্ম আরম্ভ করিতেন । বিশেষ অসুস্থতা অথবা অনুরূপ কারণ ব্যতীত এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিতে কেহ কোনদিন দেখে নাই । এমন কি মৃত্যু-শয্যায় শুইয়া ও তিনি এ নিয়মটি যথাযথ ভাবে পালন করিয়া গিয়াছেন । শেষের দিকে তাহার দৃষ্টিশক্তি খুবই ক্ষীণ হইয়া আসিয়াছিল। মৃত্যুর পূর্বদিন সন্ধ্যার স্বপ্নালোকে হঠাৎ তাহার মনে হয়, প্ৰাতঃকাল হইতেছে । শয্যায় শায়িত সাধক নিতান্ত চঞ্চল হইয়। উঠিলেন। বলিলেন, ভোর হচ্ছে। তোমরা আমায় এ বন্ধ ঘর থেকে একটু বারান্দায় নিয়ে চল, আ মি বিশ্বপিতার চরণে প্ৰণাম জানাই । তিনি সকলকেই দৈনন্দিন পূজা ধ্যান করিবার উপদেশ দিতেন এবং ইহাও বলিতেন যে, গাহস্থ্যিজীবনে ধৰ্ম্মই বড় অবলম্বন, উহাকে ধরিয়াই সংসারের দুৰ্গম পথে যাত্ৰা করিতে হয়। তঁহার নিজের অট্টালিকার পূজামণ্ডপে প্ৰতিদিন পরিবারস্থ & Nộ