পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুব পারেন না যে, কোন ব্যক্তি ভগবানকে বাদ দিয়া আর সমস্ত কৰ্ম্ম করিয়া যাইবে । একটু স্তব্ধ থাকিয়া ঈষৎ উত্তেজিত স্বরে বলিলেন-আচ্ছা, তুমি বলতে পার, এ সব লোক নিজেদের ব্ৰাহ্ম বলে পরিচয় দেন কেন ? দেখ, যারা শাক্ত তাঁরা সকলেই শক্তির আরাধনু করেন, তেমনি বৈষ্ণব, শৈব বা অন্যান্য পন্থীরা প্ৰত্যেকেই স্ব-স্ব আরাধ্য দেবতাকে স্মরণ মনন করেন, এর ভেতর দিয়েই ধৰ্ম্মের ধারাটিকে নিজের মধ্যে প্রবহমান রাখেন । তেমনি আমাদের সম্প্রদায়ের প্রকৃত কৰ্ত্তব্য হচ্ছে যে, এর অন্তভুক্ত ব্যক্তিরা ব্ৰহ্মের উপাসনা করবেন। কিন্তু এরা যদি কেউ ব্ৰহ্মোপাসনা না করেন তবে কিরূপে নিজেদের ব্ৰাহ্ম বলে পরিচয় দেন ? এযে সব দিক দিয়ে নীতি-বিগঠিত ৷ ধৰ্ম্মর গভীরতর দিক বাদ দিলে ৫, আনুষ্ঠানিক দিক থেকেও তো তারা অপরাধী প্ৰতিপন্ন না হয়ে পারবেন না ! কারণ সমাজের সদস্য হবার সময় নূতন সদস্যকে প্ৰতিজ্ঞা করতে হয় যে, তিনি আজীবন ব্ৰহ্মা-আরাধনা করবেন। এ প্ৰতি জ্ঞা অনুযায়ী তার তো প্ৰতিদিনই প্রার্থনা করা উচিৎ ৷ মহর্ষি বলিয়া চলিলেন- এই আমার কথাই ধীর না--- ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে সমাজের তৎকালীন আচাৰ্য্য পণ্ডিত রামচন্দ্ৰ বিদ্যাবাগীশের নিকট ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করি । সে সময় লিখিতভাবে প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ হই, প্ৰতিদিন গায়িত্ৰীমন্ত্রসহ ব্ৰহ্ম আরাধনা করবো। এর পর থেকে আজ পৰ্য্যন্ত কোনো দিন আমি সে প্ৰতিশ্রুতি ভঙ্গ করিনি। নেহাৎ কোন গুরুতর পীড়া ছাড়া অন্য (a)