পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর পত্র দেন। পত্রোওরে আমি উক্ত অনুষ্ঠানে প্ৰাতঃকালীন প্রার্থনার পর ঈশ্বরে বিশ্বাস সম্পর্কে একটি নাতিদীর্ঘ বক্ততা দিবার প্ৰতিশ্রুতি জানাই। কিন্তু তাহাকে ইহা জানাইবার পর আমার মনে হয় যে, বক্তৃতাটি সকালে না দিয়া সন্ধ্যায় দিলেই অধিক সংখ্যক শ্রোতা তাহা শুনিবার সুযোগ পাইবে। --ভোর বেলায় অনেকেই অনুষ্ঠানে যোগদান করিতে সক্ষম হইবে না। আমার পরিবৰ্ত্তিত সিদ্ধান্তটি কয়েকদিন পরে মহৰ্ষিকে জানাই । তিনি কিছুটা সময় নির্মালত নেত্ৰে মৌনী হইয় থাকেন । তারপর সহসা সবেগে মস্তক আন্দোলিত করিয়া আমার ঐ মত পরিবাৰ্ত্তন অগ্ৰাহ্য করেন। তিনি বলেন, তখন আর পূৰ্ব্ব সিদ্ধাস্ত বদলানো সম্ভব নয়-সমস্ত কৰ্ম্মসূচী চূড়ান্তরূপে নিৰ্দ্ধারিত হইয়া গিয়াছে । তাহাব ধৰ্পণ ধারণ আমি বিলক্ষণ জানিতাম । তাই এসম্বন্ধে আর দ্বিকাক্তি না করিয়া সিদ্ধান্তটি মাথা পাতিয়া গ্ৰহণ করিয়া লইলাম । পরমব্রহ্মের স্মরণ মনন ও ধ্যান কবিতে করিতে ব্যবহারিক জীবন সম্পর্কে মহৰ্ষির আসক্তি ও পক্ষপাতিত্ব অন্তহিত হইয়া গিয়াছিল । ফলে সাপ সারিক বন্ধনের মধ্যে বাস করিয়াও নিরপেক্ষ বিচার করিতে র্তাহার ত্রুটি হইত না। পণ্ডিত প্ৰিয়নাথ শাস্ত্রী দীর্ঘদিন তাহার পার্শ্বচর হিসাবে থাকার সৌভাগ্যলাভ করেন। তঁহার নিকট হইতেই শুনিয়াছি-একবার মহর্ষির পরলোকগত ভ্রাতার বংশধরগণ ঠাকুরবাড়ীর যৌথ সম্পত্তির VO