পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদেব সান্নিধ্যে গৃহে তাহার এক শ্যালিকা বেড়াইতে আসেন, মহিলাটির অঙ্কনবিদ্যার প্রতি বিশেষ অনুরাগ ছিল । মহর্ষি একদিন হঠাৎ তাহার অঙ্কিত একখানি চিত্ৰ দেখিয়া ফেলেন । কলা বিদ্যার প্ৰতি শ্যালিকার এই অনুরাগের পরিচয় পাইয়। তিনি খুবই আনন্দিত হন ও তাহার চিত্রাঙ্কন শিক্ষার জন্য এক শিক্ষক নিযুক্ত করিয়া দেন। মহৰ্ষির এই আন্তরিক সহায়তায় মহিলাটি ভবিষ্যতে প্ৰথিতযশা শিল্পীরূপে গণ্য হন । যে কোন মানুষেরই সুপ্ত সুকুমার বৃত্তির উন্মেষ সাধনে তাহার আগ্রহের অন্ত ছিল না। সেজন্যই সে যুগে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ী শিক্ষায়, শিল্পে, সঙ্গীতে আদর্শ স্থান অধিকারে সক্ষম হয় । অধিকাংশ ব্যক্তিরই ধারণা সাধক দেবেন্দ্ৰনাথ কেবলমাত্ৰ ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ পাঠেই সময় অতিবাহিত করিতেন । ইহা কিন্তু মোটেই সত্য নয়। র্যাহারা তাহার ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসার সুযোগ লাভ করেন তাহারাই জানিতেন যে, সৰ্ব্বশাস্ত্র ও সর্ববিষয়ে মহর্ষির জ্ঞান কত গভীর ছিল। ধৰ্ম্মপুস্তক ব্যতীত অন্যবিষয়ক গ্ৰন্থ পাঠেও তাহার উৎসাহ কম ছিল না । কলিকাতার বাড়ীতে তাহার শয়নকক্ষটিই ছিল একটি গ্রন্থাগার বিশেষ । দেখিতাম, দাৰ্জিলিং-এর সেই নিৰ্জনবাসের মধ্যেও তিনি দেশ বিদেশের চিন্তা ও অগ্রগতির প্রতিটি সংবাদ রাখিতেন, এমন কি দৈনন্দিন জীবন সমস্যার কথাও জানিতেন এবং তাহার সমাধানের চেষ্টা করিতেন । er ܛ؟