পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুৰুষদেব সান্নিধ্যে ছিলেন । কিন্তু তিনি মহৰ্ষির সহিত সাক্ষাৎ না করিয়াই পিছনের দিকের একটি চেয়ারে বসিয়া বক্তৃতা শ্রবণ করিতে থাকেন। উপাসনা শেষে মহৰ্ষিকে তঁহার গাড়ীতে তুলিয়া দিবার জন্য আমি তাহার সঙ্গে সঙ্গে অগ্রসর হই । পথের দুই পার্শ্বে অগণিত লোক মহৰ্ষিকে দর্শন করিবার জন্য দাড়াইয়া আছেন। কেশব সেন সারিবদ্ধ জনতার পিছনে দাড়াইয়া এই দৃশ্য দেখিতেছিলেন। আমি চলিতে চলিতে সেদিকে মহৰ্ষির দৃষ্টি আকৃষ্ট করিতেই বৃদ্ধ যেন ক্ষণেকের জন্য শিশুসুলভ চপলতায় অধীর হইয়া উঠিলেন । দ্রুতপদে কেশব সেনের নিকট গিয়া হাতটি দিয়া তাহার গলদেশ বেষ্টন করিয়৷ অভিমানভর কণ্ঠে বলিলেন-কেশব, তুমি এখানেই উপস্থিত ছিলে কিন্তু আমার পাশে এসে বসনি কেন ? তোমাকে দেখলেই আমার মধ্যে যে কি এক অনিৰ্ব্বচনীয় উদ্দীপনা জাগে তা আমি বলতে পারি না। অনুষ্ঠানে এসে কোন পরিচিত মুখ না দেখে আমি তো বিব্রত বোধই কচিছলাম। তুমি যদি আমার নিকটে থাকতে তাহ’লে আমি আজ আরও হৃদয়গ্ৰাহী उठाक्ष० gिड *झडम । বুদ্ধের এই শিশুসুলভ সরলতা ও কেশব বাবুর প্রতি গভীব প্রেমের পরিচয় পাইয়া আমাদের মন আনন্দে ভরিয়া উঠিল । কেশব বাবু নিজেও এর জন্য মোটেই প্ৰস্তুত ছিলেন না। সাম্প্রদায়িক মতভেদে সাময়িকভাবে তাহার মনে সংশয় জাগিলে ও প্ৰবীণ সাধকের আন্তরিকতায় তাহা লঘু মেঘের মতই চিত্তাকাশ y