পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদেব সান্নিধ্যে সাধক মনটি সদাই বিরাজমান ছিল । চরম বিপৰ্য্যয়ের সময়ও এই নিবাত নিষ্কম্প মনটির অস্তিত্ব উপলব্ধি করা যাইত। শ্ৰীযুক্ত প্রিয়নাথ শাস্ত্রীর বিবৃত একটি ঘটনায় আমার এই নিজের ধারণা আর ও দৃঢ় হয় । প্রিয়নাথ বাবু বলিতেছিলেন-জোড়াসাকোর বাড়ীতে মহৰ্ষির তৃতীয় পুত্ৰ হেমেন্দ্ৰ নাথের তখন কঠিন অসুখ । সে সময় তিনি চুচূড়ায় অবস্থান কচ্ছেন। স্নেহকাতর পিতা সকালসন্ধ্যায় সন্তানের সংবাদ জানিবার জন্য কলকাতায় লোক পাঠাচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশাদি দিচ্ছেন। ঠিক যেদিন রাত্রে হেমেন্দ্ৰনাথ মারা যান, তার পরদিন সকালে যথারীতি আমি কলকাতায় এলাম তার সংবাদ নিতে । কিন্তু তখন সব শেষ ጀCጄ! ርኝ፲USé ! --আমার অবস্থা চিন্তা করতে পারবেন না । ভাবতে লাগলাম। এ সংবাদ মহৰ্ষিকে কি করে দেব? চু চূড়ায় ফিরে এসে নিজের কক্ষে বসে রইলাম । এদিকে সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে অথচ কলকাতা থেকে ও কোন লোক এলো না। মহর্ষি চঞ্চল চরণে নিজের কক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মধ্যাহ্ন পৰ্য্যন্ত কোন সংবাদ না পেয়ে তিনি মনে মনে যৎপরোনাস্তি চঞ্চল হলেন । কিন্তু আচরণে তেমন বেশী চাঞ্চল্য লক্ষিত হচ্ছিল না । সন্ধ্যাবেলায় যথারীতি বারান্দায় পদচারণা করতে করতে ভূত্যদের জিজ্ঞাসা করলেন যে, আমি কলকাতা থেকে ফিরেছি दि न् । 切 ●