পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজনারায়ণ বসু হইতেই আমি তঁাহার একজন গুণগ্ৰাহী ভক্ত ছিলাম । ১৮৬৫ সালে প্রদত্ত র্তাহার মেদিনীপুরের বক্তৃতা সে সময়ে ছাত্রসমাজে এক আলোড়নের সৃষ্টি করে-- এখন হয়ত অনেকেই উহার প্রভাবের কথা অবগত নহেন। সে সময়ে তাহার এই সব বক্তৃত ব্ৰাহ্মসমাজ মন্দিরেও পঠিত হইত। সাহিত্যিক প্ৰতিভায় প্রদীপ্ত, আধ্যাত্মিক উপলব্ধিতে সমৃদ্ধ রাজনারায়ণ বসুর রচনাগুলি কেশব সেনের মত প্ৰতিভাধর বাগীকে ও অনুপ্ৰাণিত না করিয়া পারে নাই । ১৮৬৭ খৃষ্টাব্দে কৰ্ম্মক্ষেত্ৰ মেদিনীপুর হইতে অবসর গ্ৰহণ করিয়া তিনি কলিকাতায় আগমন করেন। বরাবরই তাহার প্ৰতি আমার এক গভীব অনুরাগ ছিল- সুতরাং এ মহাত্মা কলিকাতা আসিবার পরই আমি যেন চুম্বকাকৃষ্ট লৌহের মত র্তাহার কাছে উপস্থিত হইলাম। প্ৰতিদিনের দর্শনার্থীরূপে আমার আনাগোনা সুরু হইল। কোন মানুষের মধ্যে যে একাধারে এরূপ বিনয়, দয়া, কমনীয়তা ও আন্তরিকতা থাকিতে পারে, পূর্বে তাহা আমার ধারণা ছিল না। তাহার আচরণে বা কথায় আমার মত বিরুদ্ধদলভুক্ত ব্যক্তির প্রতি বিন্দুমাত্র উস্মার আভাষ পাইলাম না। উদার, সংস্কারমুক্ত এই বিরাট মনের স্পর্শে সেদিন। ধন্য হইলাম-বুঝিলাম, কোন প্রকার দলীয় বিরোধ এই মহান পুরুষের ব্যক্তিত্বের উপর সঙ্কীর্ণতার কোন রেখাপাতই করিতে পারে নাই । শেষজীবনটি রাজনারায়ণবাবু দেওঘরে অতিবাহিত করেন। bytt