পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজনারায়ণ বসু বোধ করিতেছিলাম। তাছাড়া, তাহার পথশ্রমে ক্লান্ত এক থা ভাবিয়াও একটু বিব্রত বোধ না করিয়া পারি নাই। কিন্তু বৃদ্ধের সেই ভাব-বিভোর মুখের দিকে তাকাইয়া বাধা দিতে ইচ্ছা হইল না । ইতিমধ্যেই তিনি কয়েকখানি গ্ৰন্থ হইতে আবৃত্তি আরম্ভ করিয়াছেন। এমন সময় রাজনারায়ণবাবুর জ্যেষ্ঠপুত্ৰ যোগীন আসিয়া জানাইল যে, স্নানের জল প্ৰস্তুত । এ কথা শুনিয়া যেন তাহার চমক ভাঙ্গিল । শিশুসুলভ হাসিতে ঘরখানি ভরিয়া ফেলিয়া তিনি বলি লেনসত্যিই তো ! আমার বুদ্ধি দেখলে ? তোমরা পথশ্ৰান্ত, অথচ, তোমাদের সুসানাহারের ব্যবস্থা না করেই আমি বক্তৃতা জুড়ে দিয়েছি । আচ্ছা, তোমরা এখন খাওয়া দা ওয়া করে গিয়ে, পরে এ সম্পর্কে আলোচনা করবে। -- বুদ্ধের সরলতায় আমার সঙ্গীরা অভিভূত হইয়া গেলেন। ধৰ্ম্ম ও রাজনীতি সম্পর্কে তাহার সহিত বহু ক্ষেত্রে আমার মতের অমিল ছিল, কিন্তু এই বৃদ্ধের বিরাট ব্যক্তিত্ব আমার চিত্তটি জয় করিয়া লয় । আমাদের মতের অমিলাকে বড় করিয়া তুলিয়া তিনি কখনো মনের মিলের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করেন নাই । তাহার দীর্ঘ জীবনের বহু চিত্তাকর্ষক অভিজ্ঞতা তিনি আমায় বলিতেন । পরিচয়ের পর হইতে যতই তেঁাহার সহিত ঘনিষ্ঠ হইয়াছি, তাহার অপূর্ব চরিত্রের পরিপূর্ণ রূপ আমায় ততই বিস্ময়াবিষ্ট করিয়াছে । বহু বড় বড় প্ৰতিভাকে তঁাহার ክy ዔ