পাতা:মহানির্ব্বাণ-তন্ত্রম্‌ (শ্যামাচরণ কবিরত্ন).pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२४९ মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্ৰম্। তত্ত্বচক্রং চক্ররাজং দিব্যচক্রং ততুচ্যতে । নাত্ৰাধিকারঃ সৰ্ব্বেষাং ব্রহ্মজ্ঞান সাধকান বিনা ৷ ২০৫ পরব্রহ্মোপাসক যে ব্রহ্মজ্ঞা ব্ৰহ্মতৎপরাঃ । শুদ্ধান্তঃকরণঃ শাস্তাঃ সৰ্ব্ব প্রাণিহিতে রতীঃ ॥ ২০৬ নিৰ্ব্বিকার নিৰ্ব্বিকল্প। দয়াশীল দৃঢ়ব্ৰতা: | সত্যসঙ্কল্পক ব্রাহ্মাস্ত এবাত্রাধিকারিণঃ ( ২০৭ ব্ৰহ্মভাবেন তত্ত্বজ্ঞে যে পশুস্তি চরাচরম । তেষাং তত্ত্ববিদtং পুংসাং তত্ত্বচক্রেইধিকারিত ৷ ২০৮ সৰ্ব্বং ব্ৰহ্মময়ং ভাবশচক্রেহস্মিংস্তত্ত্বসংজ্ঞকে | ঘেষামুংপদ্যতে দেবি ত এব তত্ত্বচক্রিণ: || ২০৯ ন ঘটস্থাপনাত্রাস্তি ন বাহুল্যেন পূজনম । সৰ্ব্বত্র ব্ৰহ্মভাবেন সাধয়েৎ তত্ত্বসাধনম ॥২১০ অধুনা তত্ত্বচক্র বলিতেছি, তাহা শ্রবণ কর । তত্ত্বচক্র, চক্র-সকলের রাজা । ইহা দিব্যচক্র বলিয়। কথিত হয় । ব্রহ্মজ্ঞ সাধক ব্যতীত ইছাতে সকলের অধিকার নাই। বাহারা পরমব্রহ্মের উপাসক, ব্রহ্মজ্ঞ, ব্রহ্ম-তৎপর, পবিত্ৰাস্ত:করণ, সৰ্ব্ব প্রাণীর হিতচরণে রত, শান্ত, নিৰ্ব্বি করে, তন্ত্র ও গুরুবাক্যে বিশ্বাসী, দয়াশীল, দৃঢ়ব্ৰত, সত্যসঙ্কল্প এবং ব্রাহ্ম, তাহারাই এই তত্ত্বচক্রে অধিকারী । ২০০—২০৭ । হে তত্ত্বজ্ঞে ! যাহারা এই চরচরকে ব্ৰহ্মভাবে অবলোকন করেন, সেই সকল তত্ত্বজ্ঞ পুরুষদিগের এই তত্ত্বচক্রে অধিকার আছে । হে দেবি ! এই তত্ত্বনামক চক্রে যাহাদের “সকলই ব্রহ্মময়” এইরূপ ভাব হয়, তাহারাই তত্ত্বচক্রী অর্থাৎ তাহাদিগেরই তত্ত্বচক্রে অধিকার আছে। ইহাতে ঘটস্থাপন নাই, বাহুল্যরূপে পূজা নাই। সকল স্থলেই ব্ৰহ্মভাবে তত্ত্ব-সাধন