পাতা:মহানির্ব্বাণ-তন্ত্রম্‌ (শ্যামাচরণ কবিরত্ন).pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২২ মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্ৰম্। অতঃ সস্তুপ তাঃ সৰ্ব্ব দেবর্ষি-পিতৃ-দেবতাঃ । শিখাস্বত্রপরিত্যাগাদেহী ব্ৰহ্মময়ো ভবেৎ। যজ্ঞসুত্র-শিখাত্যাগাৎ সন্ন্যাস: স্তাদ্বিজন্মনাম ॥ ২৬২ শূদ্রাণামিতরেষাঞ্চ শিখাং হুত্বৈব সংস্কিয়া। ততো মুক্তশিখাস্থত্রঃ প্রণমেদণ্ডবন্দ্র গুরুম্ ॥ ২৬৩ গুরুরুথাপ্য তঃ শিষ্যং দক্ষকর্ণে বদেদিদম । তত্ত্বমসি মহাপ্রাজ হংসঃ সোহহং বিভাবয় । নিৰ্ম্মমো নিরহঙ্কারঃ স্বভাবেন সুখং চর ॥ ২৬৪ ততো ঘটঙ্ক বহিষ্ণ বিস্ব জ্য ব্ৰহ্মতত্ত্ববিৎ । আত্মস্বরূপং তং মত্ব প্রণমেচ্ছিরস গুরুঃ | ২৬৫ নমস্তুভ্যং নমো মহং তুভ্যং মহং নমো নমঃ । ত্বমেব তত তত্ত্বমেব বিশ্বরূপ নমোহস্তু তে || ২৬৬ পিতৃগণ, এবং দেবতাগণ—সকলকেই সস্তপিত করিয়া দেহী, শিথা ও যজ্ঞস্থত্র পরিত্যাগ করিবামাত্র ব্ৰহ্মময় হুইয়া থাকে । যজ্ঞস্বত্র ও শিখা পরিত্যাগ করিলেই দ্বিজগণের সন্ন্যাস হয় । শূদ্ৰ ও সামান্তজাতিগণের শিখা-হোম করিলেই সংস্কার হয়। অনন্তর শিখ ও যজ্ঞস্থত্র ত্যাগ করিয়া গুরুকে দগুবৎ প্রণাম করিবে । ২৫৬—২৬৩ । গুরু, শিষ্যকে উথাপিত করিয়া, দক্ষিণ-কর্ণে ইহা বলিবেন যে, “হে মহাপ্রাজ্ঞ ! সেই ব্রহ্ম তুমিই। তুমি হিংসঃ ও ও ‘সোহং ভাবন কর । তুমি অহংকার ও মমতা-রহিত হইয়। নিজের শুদ্ধভাবে মুখে বিচরণ কর।” অনন্তর ব্ৰহ্মতত্ত্বজ্ঞ গুরু, ঘট ও অগ্নি বিসর্জনপূৰ্ব্বক শিষ্যকে আত্মস্বরূপ বিবেচনা করিয়া, মস্তক দ্বারা প্রণাম করিবেন । মন্ত্র যথা –তোমাকে নমস্কার, সামাকে নমস্কার । তোমাকে ও আমাকে বারংবার নমস্কার। হে