পাতা:মহানির্ব্বাণ-তন্ত্রম্‌ (শ্যামাচরণ কবিরত্ন).pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃর্তীয়োল্লাসঃ । ల్సి পরেশ প্রভো সৰ্ব্বরূপাবিনাশিগ্ননির্দেশু সৰ্ব্বেন্দ্রিয়াগম্য সত্য। অচিন্ত্যাক্ষর ব্যাপ কাব্যক্তিতত্ত্ব জগদ্ভাসকাধীশ পায়দিপায়াৎ ॥ ৬২ তদেকং সুরামস্তদেকং জপামস্তদেকং জগৎসাকিরূপং নমাম: । সদেকং নিধানং নিরলস্বৰ্মীশং ভবাস্তোধিপোতং শরণ্যং ব্ৰঞ্জাম: ॥ ৬৩ পঞ্চরত্বমিদং স্তোত্ৰং ব্রহ্মণ: পরমাত্মনঃ । যঃ পঠেৎ প্রয়তো ভূত্বা ব্রহ্মসাযুজ্যমাপ্ল স্থাৎ ॥ ৬৪ গণের শ্রেষ্ঠ ও রক্ষকদিগের রক্ষক। হে পরমেশ ! হে প্রভো, তুমি সৰ্ব্বরূপ, অবিনাশী, অনির্দেশু এবং সৰ্ব্বেন্দ্রিয়াগম্য অর্থাৎ কোন ইন্দ্রিয়ের গোচর নহ । হে সত্যরূপ ! হে অচিন্ত্য । হে অক্ষর ! হে ব্যাপক ! হে অব্যক্ততত্ত্ব ! হে জগদ্ভাসক ! হে অধীশ ! তুমি আমাদিগকে অপায় অর্থাৎ ভক্তিবিশ্লেষ ও জ্ঞানবিশ্লেষ হইতে রক্ষা কর । সেই একমাত্র ব্রহ্মকে আমরা স্মরণ করি, সেই একমাত্র ব্ৰহ্মাকে আমরা জপ করি ; সেই একমাত্র জগৎসাক্ষিস্বরূপ ব্ৰহ্মকে আমরা প্রণাম করি। সেই সৎ, একমাত্র জগতের নিধান অর্থাৎ আশ্রয়ভূত, অথচ স্বয়ং নিরালম্ব অর্থাৎ আশ্রয়শূন্ত, সেই তুমি ঈশ্বর, ভবসমুদ্রের পোতস্বরূপ ; আমরা তোমার আশ্রয় গ্রহণ করিলাম। ৫৯–৬৩ । পরমাত্মা ব্রহ্মের পঞ্চরত্ন নামক এই স্তোত্র যিনি সংযত হইয়া পাঠ করেন, তিনি ব্রহ্মসাযুজ্য প্রাপ্ত হন। প্রত্যহ প্রদোষ-কালে এই পঞ্চরত্ন স্তোত্র পাঠ করিবে । বিশেষতঃ সোমবারে জ্ঞানী