পাতা:মহানির্ব্বাণ-তন্ত্রম্‌ (শ্যামাচরণ কবিরত্ন).pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 o' মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্ৰম্। সঙ্কল্পোহস্মিন মহামস্ত্রে মানসঃ পরিকীর্তিতঃ। সাধনে ব্রহ্মমন্ত্রস্ত ভাবশুদ্ধিবির্বধীয়তে ॥ ১২০ সৰ্ব্বং ব্রহ্মময়ং দেবি ভাবয়ে ব্রহ্মসাধক: | ন চাস্ত প্রত্যবায়োহস্তি নাঙ্গবৈগুণ্যমেব চ। মহামনোঃ সাধনে তু ব্যঙ্গং সাঙ্গায়তে ধ্রুবম ১২১ কলেী পাপযুগে ঘোরে তপোহীনেহতিদুস্তরে । নিস্তারবীজমেতবিদ ব্রহ্মমন্ত্রস্ত সাধনম ॥ ১২২ সাধনানি বহূক্তানি নানাতন্ত্রাগমাদিষু। কলেী দুৰ্ব্বলজীবানা-মসাধ্যানি মহেশ্বরি ॥ ১২৩ অল্পায়ুষঃ স্বল্পবৃত্তা অন্নাধীনসবঃ প্রিয়ে । লুব্ধা ধনার্জনে ব্যগ্রীঃ সদা চঞ্চলমানসা: || ১২৪ মহামন্ত্র-সাধন বিষয়ে মানসিক সঙ্কল্প কথিত হইয়াছে । ইহাতে ভাবশুদ্ধি নিতান্ত মাবস্তক। হে দেবি ! ব্রহ্মসাধক ব্যক্তি সমুদায় ব্ৰহ্মময় ভাবনা করিবেন। এই ব্রহ্মসাধনে ক্রট হইলে অঙ্গবৈগুণ্য ঘটে না এবং প্রত্যব্যয়ও হয় না । এই মহামস্ত্রের সাধনে, কোন কাৰ্য্য অঙ্গহীন হইলে ও তাহ নিশ্চয় সাঙ্গ হইয় উঠে । এই অতি দুস্তর তপস্তাহীন ঘোর পাপময় কলিযুগে ব্রহ্মমন্ত্রের সাধনাই একমাত্র নিস্তারের উপায় । হে মহেশ্বরি । নান তন্ত্রে ও নানা আগমাদি শাস্ত্রে নানা প্রকার সাধনের বিষয় বলিয়াছি ; পরস্তু কলিযুগে দুৰ্ব্বল জীবের পক্ষে সে সমুদায়ই অসাধ্য। ১১৯– ১২৩। হে প্রিয়ে । কলিযুগের মানবগণ অল্পায়ু; তাহারা সমধিক অনুষ্ঠান করিতে পারে না ; তাছার অন্নগত প্ৰাণ ; তাহার লুব্ধ, ধনোপার্জনে ব্যগ্র ও সৰ্ব্বদ চঞ্চলচিত্ত । সমাধিতে তাহাদের বুদ্ধি স্থির থাকিবে না । তাহারা যোগজনিত ক্লেশ সহ করিতে