পাতা:মহানির্ব্বাণ-তন্ত্রম্‌ (শ্যামাচরণ কবিরত্ন).pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয়োল্লাসঃ । Q> সমাধাবস্থিরধিয়ে যোগক্লেশাসহিষ্ণবঃ । তেষাং হিতায় মোক্ষায় ব্রহ্মমার্গেহয়মীরিত: ॥ ১২৫ কলেী নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব সত্যং সত্যং ময়োচ্যতে । ব্ৰহ্মদীক্ষাং বিনা দেবি কৈবল্যায় মুখায় চ || ১২৬ প্ৰাত:কৃত্যং প্রতিরেব সন্ধ্যাং কুৰ্য্যাৎ ত্রিকালত: | মধ্যাহ্নে পূজনং কুৰ্য্যাং সৰ্ব্বতন্ত্রেস্বয়ং বিধিঃ । পরব্রহ্মোপাসনে তু সাধকেচ্ছবিধিঃ শিবে ॥ ১২৭ বিধয়ঃ কিঙ্কর যত্র নিষেধী: প্রভবেtহপি ন । স্বেচ্ছাচারেণেষ্ট্রসিদ্ধি-স্তদ্বিনা কেহন্তমীশ্রয়েৎ ॥ ১২৮ ব্ৰহ্মজ্ঞানি গুরুং প্রাপ্য শাস্তং নিশ্চলমানসম । ধুত্ব তচরণাস্তোজং প্রার্থয়েদ ভক্তিভাবতঃ ॥ ১২৯ অপারক, অতএব তাহদের হিতের নিমিত্ত এবং মোক্ষের নিমিত্ত ব্রহ্মোপাসনার পথ আমি প্রকাশ করিলাম। হে দেবি ! আমি সত্য বলিতেছি, কলিযুগে ব্ৰহ্মদীক্ষা ব্যতিরেকে মুখের ও মুক্তির নিমিত্ত অন্ত কোন উপায় নাই । ১২৪—১২৬ ৷ সৰ্ব্বতন্ত্রে এই বিধি আছে যে, প্রাতঃকালে প্ৰাত:কৃত্য সমাধা করিয়৷ ত্রিকালে সন্ধ্যা করিবে এবং মধ্যাহে পূজা করিবে। হে শিবে ! পরমব্রহ্মের উপাসনায় সাধকের ইচ্ছাই বিধিস্বরূপ গণ্য করিতে হইবে। ব্রহ্মসাধনে শাস্ত্রীয় বিধি সমুদায় কিঙ্কর-স্বরূপ হয়, নিষেধ সমুদায়ও প্রভুত্ব করিতে পারে না, স্বেচ্ছামুরূপ আচরণ স্বারাই ইষ্টসিদ্ধি হয়। ঈদৃশ ব্রহ্মসাধন ৰাতিরেকে আর কি অবলম্বন করা যাইতে পারে ? স্থিরচিত্ত প্রশান্ত ব্ৰহ্মজ্ঞানী গুরুকে প্রাপ্ত হইলে তাহার চরণকমল ধারণ করিয়া, ভক্তিভাবে প্রার্থনা করিবে,—হে করুণাময় ! হে দীনজনের ঈশ্বর ! আমি আপনার শরণাগত হইলাম। - হে