পাতা:মহানির্ব্বাণ-তন্ত্রম্‌ (শ্যামাচরণ কবিরত্ন).pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や、 মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্রম্‌ ! ন করেীতি ন চাশ্নতি ন গচ্ছতি ন তিষ্ঠতি । সত্যং জ্ঞানমনাদ্যস্ত-মবাত্মনসগোচরম ॥ ২৮ তস্তেচ্ছামাত্রমালম্ব ত্বং মহাযোগিনী পরা। করেষি পাসি হংস্তস্তে জগদেতচ্চরাচরম। ২৯ তব রূপং মহাকালে জগৎসংহারকারকঃ । মহাসংহারসময়ে কালঃ সৰ্ব্বং গ্রসিষ্যতি ॥৩০ ক লনাৎ সৰ্ব্বভূতানাং মহাকালঃ প্রকীর্তিতঃ। মহাকালস্ত কলনীত ত্বমাদ্যা কালিকা পরা । ৩১ এবং নির্লিপ্ত। তিনি কোন কাৰ্য্য করেন না ; তিনি ভক্ষণ করেন ন, গমন করেন না । কোন বস্তুবিশেষে তাহার অবস্থিতি নাই । তিনি নিস্ক্রিয় ; তিনি সত্যস্বরূপ ; তিনি আদি-অন্ত-রহিত ; তিনি বাক্য এবং মনের অগোচর। তুমি পরাৎপরা মহাযোগিনী। তুমি র্তাহার ইচ্ছামাত্র অবলম্বন করিয়৷ এই চরাচর জগৎ স্বষ্টি করিতেছ, এই জগৎকে পালন করিতেছ এবং সৰ্ব্বশেষে সৰ্ব্বজগৎকে সংস্থার করিতেছ। জগৎ-সংহার-কারক মহাকাল—তোমারই একটি রূপ। এই মহাকাল, মহাসংহার-সময়ে, সমুদায় গ্রাস করিবেন । ২৬-৩০ । সৰ্ব্বপ্রাণীকে কলন অর্থাৎ গ্রাস করেন বলিয়, তিনি মহাকাল’ নামে প্রকীর্তিত হইয়াছেন । তুমি মহাকালকেও কলন অর্থাৎ গ্রাস কর, এই নিমিত্ত তোমার নাম আদ্য পরা কালিকা। তুমি কালকে গ্রাস কর, এই নিমিত্ত তুমি ‘কালী’ । তুমি সকলের আদি । তুমি সকলের কালস্বরূপ এবং আদিভূত, এই নিমিত্ত তোমাকে লোকে আদ্যা কালী বলিয়া কীর্তন করে । তুমি সৰ্ব্বসংহারক প্রলয়সময়ে বাক্যের অতীত, মনের অগম্য, তমোময় আকৃতি-বিহীন স্বরূপ অবলম্বন