পাতা:মহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীলিমাকে যতদুর শাস্ত নির্মল মনে হয় হয়তো-ব সে-রকম নেই তার মহানুভবতা । মানুষ বিশেষ-কিছু চায় এই পৃথিবীতে এসে অতীব গরিমাভরে বলে যায় কথা ; যেন কোনো ইন্দ্ৰধনু পেয়ে গেলে খুশি হ’তে মন । পৃথিবীর ছোটো-বড়ে দিনের ভিতর দিয়ে অবিরাম চ’লে অনেক মুহূর্ত আমি এরকম মনোভাব করেছি পোষণ । দেখেছি সে-সব দিনে নরকের আগুনের মতে অহরহ রক্তপাত ; সে-আগুন নিভে গেলে সে-রকম মহৎ আঁধার, সে-আঁধারে দুহিতারা গেয়ে যায় নীলিমার গান ; উঠে আসে প্রভাতের গোধুলির রক্তচ্ছটা-রঞ্জিত ভাড় । সে-আলোকে অরণ্যের সিংহকে ফিকে মরুভূমি মনে হয় ; মধ্য সমুদ্রের রোল—মনে হয়—দয়াপরবশ ; এরাও মহৎ—তবু মানুষের মহাপ্রতিভার মতো নয় । আজ এই শতাব্দীতে পুনরায় সেই সব ভাস্বর আগুন কাজ ক’রে যায় যদি মানুষ ও মনীষী ও বৈহাসিক নিয়ে— সময়ের ইশারায় অগণন ছায়া-সৈনিকের •. আগুনের দেয়ালকে প্রতিষ্ঠিত করে যদি উকুনের অতলে দাড়িয়ে, দেয়ালের পরে যদি বানর, শেয়াল, শনি, শকুনের ছায়ার জীবন জীবনকে টিটকারি দিয়ে যায় আগুনের রঙ আরো বিভাসিত হ’লে— গর্তাঙ্কে ও অঙ্কে কান কেটে-কেটে নাটকের হয় তবু শ্রীতিবিশোধন। ৪(১২১) 愈合