পাতা:মহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবহমান পৃথিবী এখন ক্রমে হতেছে নিঝুম । সকলেরই চোখ ক্রমে বিজড়িত হ’য়ে যেন আসে ; যদিও আকাশ সিন্ধু ভ’রে গেলে অগ্নির উল্লাসে ; যেমন যখন বিকেলবেল কাটা হয় খেতের গোধুম । চিলের কান্নার মতো শব্দ ক’রে মেঠে। ইদুরের ভিড় ফসলের ঘুম গাঢ় ক’রে দিয়ে যায়।—এইবার কুয়াশায় যাত্র। সকলের । সমুদ্রের রোল থেকে একটি আবেগ নিয়ে কেউ নদীর তরঙ্গে—ক্রমে—তুষারের স্তুপে তার ঢেউ একবার টের পাবে—দ্বিতীয় বারের সময় আসার আগে নিজেকেই পাবে না। সে টের । এইখানে সময়কে যতদূর দেখা যায় চোখে নির্জন খেতের দিকে চেয়ে দেখি দাড়ায়েছে অভিভূত চাষা ; এখনো চালাতে আছে পৃথিবীর প্রথম তামাশা সকল সময় পান ক’রে ফেলে জলের মতন এক টোকে ; অন্ত্রীনের বিকেলের কমল। আলোকে নিড়োনো খেতের কাজ ক’রে যায় ধীরে ; একটি পাখির মতে ডিনামাইটের পরে ব’সে । থিবীর মহত্তর অভিজ্ঞতা নিজের মনের মুদ্রাদোষে নষ্ট হ’য়ে খ’শে যায় চারিদিকে আমিষ তিমিরে ; সোনালি স্বর্যের সাথে মিশে গিয়ে মানুষটা আছে পিছু ফিরে । ভোরের স্ফটিক রৌদ্রে নগরী মলিন হ’য়ে আসে । মানুষের উৎসাহের কাছ থেকে শুরু হ’লে৷ মানুষের বৃত্তি আদায় যদি কেউ কানাকড়ি দিতে পারে বুকের উপরে হাত রেখে তবে সে প্রেতের মতো ভেসে গিয়ে সিংহদরজায় আঘাত হানিতে গিয়ে মিশে যায় অন্ধকার বিম্বের মতন ।

  • Ab