পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১১৩

মহাভাগবত । نبوه اج শিবসেনাগণ জর্জরীকৃত, ক্ষতবিক্ষতসৰ্ব্বাঙ্গ, ৰুধিরধারায় মস্তকাবধি পদতল পৰ্য্যন্ত পরিপ্লুত হইয়া উঠিল ; সহস্ৰ সহস্ৰ জন রুধির বমন করিতে লাগিল; সহস্ৰ সহস্র প্রমথগণ মুচ্ছিত হইয়া পড়িল। এতদর্শনে সেনাপতি বীরভদ্র ক্রুদ্ধ হইয়া বিষ্ণুর প্রতি গদ। নিঃক্ষেপ করিলেন। সেই গদাপ্রবল বেগে গমন করিয়া বিষ্ণুর গাত্রে মহাশব্দে আঘাত মাত্রেই বৃহতী গদা শতধা বিদীর্ণ হইল। অনন্তর গদাধরও বীরভদ্রের প্রতি গদা নিঃক্ষেপ করিলেন;সে গদাও বীরভদ্রের গাত্রসংলগ্ন হইয়া শতধা বিদীর্ণ হইল। তদর্শনে ভগবান বিষ্ণু ততোধিক কোপান্বিত হইলেন; নয়নযুগল জ্বলন্ত অনলপ্রায় প্রদীপ্ত হইল,পুনৰ্ব্বার শৈলসারময়ী এক প্রকাণ্ডগদাকে বর্নিতকুবিয়ানিঃক্ষেপ করিলেন ; তদর্শনে বীরভদ্রও খট্টাঙ্গ ধারণ করিয়া ইঙ্কার সহিত উল্লম্ফন দ্বারায় অদ্বিতীয় সেই বিষ্ণুর দ্বিতীয় গদাকেও বিগতবিক্রম এবং ধরণীশায়ী করত গদাধরের বাহুদণ্ডে খট্টাঙ্গ দ্বারা আঘাত করিলেন । তদবলোকনে বিষ্ণু বিবেচনা করিলেন, এব্যক্তি সামান্ত বীর নয়, সামান্ত অন্ত্রেও ইহার সমতা হইবেন । এই ৰূপ অবধারণ করিয়া স্বকীয় অমোঘ অস্ত্র চক্রকে নিক্ষেপ করিলেন। মহাঘোর সুদৰ্শন চক্র নিজ তেজঃপ্রভাতে যখন জাজ্বল্যমান হইয়া চলিল, তখন বীরভদ্র ভীত হইয়া হৃদয়মধ্যে শস্তুর চরণদ্বয় চিন্তা করিতে লাগিল ; সেই চিন্তাবলে চক্রপাণির চক্র বীরভদ্রের কণ্ঠচ্ছেদ করিতে পারিল না, প্রত্যুত মালামধ্যস্থিত রত্নের স্যায়, দোদুল্যমান হইতে লাগিল। তদর্শনে বিষ্ণু সাতিশয় রুষ্টচেত হইয়া শত সুৰ্য্যের প্রভাযুক্ত এক ভীষণাকার