পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ অধ্যায়। >b-> ৰূপ; এ ভিন্ন আমার সুক্ষৰূপ পূৰ্ব্বে কহিয়াছি ; স্থূলৰূপের চিন্তা না করিয়া সুক্ষৰূপকে হৃদয়ে ধারণ করিতে কেহই শক্ত হন না ; যে সুক্ষৰূপ দর্শনমাত্রেই মনুজগণ মোক্ষধামের অধিকারী হন, সেই সুক্ষৰূপে অন্তঃকরণ গমন করিতে পারে না ; যে পর্যন্ত স্থূলৰূপে চিন্তানৈপূণ্য না হয়। অতএব মুমুক্ষু ব্যক্তির প্রথমতঃই আমার স্থূলৰূপ অবলম্বন করিয়া ক্রিয়াযোগ এবং ধ্যানযোগ দ্বারা সেই স্থূলৰূপের বিধিবিধানে অর্চনা করত ক্রমে ক্রমে সুক্ষৰূপকে অবলোকন করেন । এই কথা শুনিয়া হিমালয় বলিয়ছিলেন । হে মহেশ্বরি জননি । আপনার বহুবিধ স্থূলৰূপ জীবগণের উপাস্য হইয়াছে ; তন্মধ্যে কোন ৰূপকে আশ্রয় করিয়া মানবগণ সত্বর মোক্ষভাগী হন, তাহাই এক্ষণে কৃপা করিয়া বলুন। অতঃপর পাৰ্ব্বতী কহিয়াছিলেন। হে ভধর! সুক্ষৰূপের ন্যায় স্থূলৰূপেও আমি বিশ্বসংসারকে ব্যাপিয়া অাছি ; তন্মধ্যে সত্বরে মুক্তিপ্রদ অামার যে সকল মূৰ্ত্তি, তাহাদের নাম কীৰ্ত্তন করিতেছি, শ্রবণ কর – মহাকালী তথা তার ষোড়শী ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী বগল ছিন্ন মহাত্রিপুরন্থন্দরী, ধূমাবতী চ মাতঙ্গী নৃণামাশুবিমুক্তিদা। এই কয়েক মুৰ্ত্তির মধ্যে কোনও মুৰ্ত্তিকে দৃঢ় ভক্তিপূৰ্ব্বক উপাসনা করিলে শীঘ্রই মুক্তিলাভ হয়। প্রথমতঃ ক্রিয়াযোগ দ্বারা উপাসনা করিতে করিতে যখন গাঢ়তর ভক্তির উদয় হয়, তখন পরমাত্মস্বৰূপ আমার স্বক্ষৰূপে