পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ ● २ মহাভাগবত । দক্ষকন্যা ছিলেন, তিনিই হিমালয়গৃহে জন্ম লাভ করিয়া সম্প্রতি আৰূঢ়যৌবন হইয়াছেন ; এক্ষণে সেই পরমসুন্দর স্ত্রীরত্ন তদীয় পরিচর্য্যার্থে সৰ্ব্বদাই নিকটে অাছেন, তথাপি তাহার কিঞ্চিমাত্রও চিত্তবিকার হয় নাই। অতএব তুমি সেই মহাদেবের চিত্ত বিমোহন করিতে সজ্জীভূত হও, যে প্রকারে তিনি ইন্দ্রিয়ক্ষোভ প্রাপ্ত হইয়া পাৰ্ব্বতীর পাণিগ্রহণ করেন। হে কুসুমায়ুদ্ধ ! তুমি বীরচুড়ামণি, তোমার বাহুবলে সকলের অসাধ্য কার্য্য সংসাধিত হয়, তোমার বীরত্ব ব্যতীত এবম্বিধ সুমহৎ কাৰ্য্য সম্পাদন করা অন্ত কোন ব্যক্তিরই ক্ষমতা নাই । অতএব আমার এই আজ্ঞা পালন করিয়া দেবগণকে সুস্থচিত্ত কর ; তোমার প্রসাদে ত্ৰিলোক সুস্থ হউক । শিবমোইনার্থে কামের যাত্রা । দেবরাজ কর্তৃক এই প্রকার অভিহিত হইয়া কামদেব বিস্ময়াপন্ন হইয়৷ পূৰ্ব্বকালে ব্ৰহ্মদত্ত সুদারুণ অভিশাপ স্মরণ করতঃ মনে করিলেন, ইহা ন হইবেই বা কেন ? আমি পূৰ্ব্বে যৎকালে অস্ত্র পরীক্ষার নিমিত্ত, সন্ধ্যা কস্তার নিকটস্থ বিধাতাকে বাণ প্রহার করিয়ছিলাম, সেই বাণপ্রহারে বিকলেন্দ্রিয় হইয়। আমাকে শাপ দিয়াছিলেন যে, “আরে দুষ্টাচার মন্মথ ! আমি তোমাকে উৎপন্ন করিয়া অমোঘ , ধনুৰ্ব্বাণ প্রভৃতি অপণে বলদপিত করিয়াছি, এই নিমিত্ত স্বয়ং তোমাকে বিনষ্ট না করিয়া এক্ষণে ক্ষান্ত থাকিলাম ; কিন্তু ইহার প্রতিফল কিছুকাল পরে প্রাপ্ত