পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষড়বিংশ অধ্যায় 있8 কল্যাণকর বৈরাগ্যধনকে প্রাপ্ত হইয়। পরম আনন্দে এই ভুবনমধ্যে নিতান্ত নিৰ্ভয়ে পর্য্যটন করে । হে সান্ধীগণ যাহাদিগের পতিদেবতাগণের এবস্ত্রকার মুক্তিধন বিতরণের সম্যক ক্ষমতা আছে ; ভঁ হাদিগের পত্নীর ইদৃশ ভর্তৃগণের সহচারিণী হইয়। কখনই এই প্রপঞ্চ ও মায়াময় সংসারের সংস রন্ধপিণী পত্নী হইতে পারেন না। বরং সেন্ধপ পত্নীরা সেই সকল পতিগণের জীবন্ম,ক্তিস্বৰূপিনী পরমাশক্তি বলিয়া আমার স্থিরনিশ্চয় হয় । হে সাধীগণ ! আপনার পরম তপস্যা দ্বারা সেই সকল পতিদিগকে লাভ করিয়াছেন ; ইহাতে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই, এবং সেই তেজঙ্গ,ঞ্জ মহর্ষিবৃন্দও যে পুঞ্জ পুঞ্জ পুন্যপ্রভাবে ভব দৃশী পত্নীসকল প্রাপ্ত হইয়া ছেন তাহাতেও আর অনুমাত্র সংশয় নাই । হে মাতৃগণ! পূৰ্ব্বে এই গিরীন্দ্রভবনে আরও অনেক সময় ত বিবাহাদি কত মহোৎসব হইয়া গিয়াছে, কিন্তু তাহাতে আপনাদের পদরেণুর দ্বারা কখনই আমাকে এৰূপ চরিতার্থ করেন নাই, আমার ইদৃশী শেভাগ্যোদয় ত পূর্বে আর কখনই হয় নাই । আহে । আজ যে আমার রাত্ৰি এৰূপ নিরতিশয় সুপ্রভাতী হইবে, ইহা কাহার মনে ছিল ? এই বলিতে বলিতে গিরিরাণীর নয়ন যুগল বাস্পকুলে সম কুলিত হইল এবং স্থানুর ন্যায় স্থির থাকিয়া ঋষিপত্নীদিগের চরণ দর্শন করিতে লাগিলেন । মেনকার নিষ্কপট ভক্তি দর্শন করিয়া তন্মধ্যস্থ বয়োজ্যেষ্ঠ এক ঋষিসাধী অতি স্নেহভরে রাণীকে সম্বোধন