পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৩ মহাভাগবত । দের ভুবনমোহিনী পাৰ্ব্বতীর অনুৰূপ পাত্র ত্রিভুবনে দুল্লভ, ইহাই আমাদের স্থিরনিশ্চয় ছিল ; কিন্তু বিধাতা যে আবার এতাদৃশ ৰূপ ও সৌন্দর্য্য স্বষ্টি করিয়াছেন, ইহাই অতি আশ্চর্য্য। প্রফুল্ল কমলদল ও পৌর্ণমাসীর পূর্ণশশধর, ইহরাই সৌন্দর্য্য গুণে এই জগতীতলে শ্রেষ্ঠ বলিয়। পরিগণিত ; কিন্তু পাৰ্ব্বতীনাথের রুচিরানন দর্শন করিলে, র্ত হাদিগকে সুন্দর বলিয়া আর কখনই প্রতীয়মান হয় না। দেখ সখি ! রত্নভূষণ ও মণিময় কিরীট ধারণ করিয়া সকলেই অঙ্গশোভা বৰ্দ্ধিত করে ; কিন্তু এ অঙ্গে তাহার আর কিছুই আবশ্বক ছিল না। পরমোৎকৃষ্ট বসন ভুষণ ইহার অঙ্গের বরং ইহারাই অঙ্গরাগে ভূষণ শোভিত হইয়াছে। বোধ হয় ইনি ভূষণকে ভূষিত করিবার জন্যই উহা ধারণ করিয়াছেন । ইহার ললাটদেশে যে অৰ্দ্ধচন্দ্র, বোধ হয় ইহার অঙ্গসৌষ্ঠব ও মুখকান্তি দর্শন করিয়া লজ্জিতভাবে আপনার পূর্ণদেহের কলঙ্কযুক্ত অসার অংশ পরিত্যাগ করিয়া অৰ্দ্ধাবয়বে ঐ নিৰ্ম্মল ৰূপরাশির অনুৰূপ হইবার নিমিত্ত উহার সুপ্রসস্ত ললাটদেশে হীনাঙ্গী হইয়াও শোভা পাইতেছেন। কেহ কহিল সখি ! যদি আমাদের এমন অপৰূপ ৰূপই দশননিৰ্ব্বন্ধ ছিল, তবে সহস্রনয়ন হইলেই তাহার উপযুক্ত হইত, তাহু হইলে আমরা পুনঃ পুনঃ ঐৰূপ দর্শন করিয়া চরিতার্থ হইতাম ; অথবা বিধাতা যেমন এই দুই চক্ষু দিয়াছেন, তাহাতে আর পলক না দিলেও বরং অনিমিষ