পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনত্রিংশতমোধ্যায় । মহাদেবের শুভ উদ্বাহ নিশা প্রভাত হইল। বিহগগণ চতুর্দিক হইতে কলরব করিয়া নিদ্রিত জগৎকে জাগরিত করিতে লাগিল। প্রাচী দিকে তরুণ অরুণ উদিত হওয়াতে দিগ্বিদিক প্রকাশ করিতে লাগিল। স্তুতি পাঠকগণ, স্তুতিপাঠ করিতে আরম্ভ ও পুরবাসিনী-গণ জাগরিত হইয়। দৈনন্দিন কৰ্ম্মে মনোনিবেশ করিল। গিরিরাজ অবশিষ্ট রাত্রি মেনকার সহিত হরপার্বতীসম্বন্ধীয় কথোপথনে সময় অতিবাহিত করিয়া প্রত্যুষে বহিরঙ্গনে গমন করিলেন। মেনকা, ক্বতশোচ ও পুতবসনা হইয়া পাৰ্ব্বতীর মুখকমল দর্শনলালসায় নিজ প্রকোষ্ঠের অনতিদূরে অপেক্ষ করিয়া রহিলেন । অনস্তর সর্বান্তর্যামিনী গৌরী, জননীর মনোগত অভিপ্রায় জানিতে পারিয়৷ মহাদেবের নিকট হইতে বহিরাগমন করিলেন । তখন অমনি প্রাণসম কন্যাকে দর্শন মাত্রেই গিরিরাণী পুলকে পূর্ণিত হইয়া অঙ্কে গ্রহণ করত বারংবার মুখচুম্বন করিয়া স্বকীয় শয়নমন্দিরের পাশ্ব দ্বারস্থিত স্বর্ণ পীঠে পরি উপবেশন কর ইয়। মুবাসিত শীতল জলে র্তাহার মুখ প্রক্ষালন করতঃ প্রেমভরে (স্নেহভরে ) নিজ বসনাঞ্চলে তাহার মুখকমল মাৰ্জ্জন করিয়া, ক্ষীর, সর, নবনীত ও নানাবিধ উৎকৃষ্ট মিষ্টান্ন খাওয়াইয় তাহাকে সুশীতল জলপান করাইলেন । অতঃপর পুতাত্মা হইয়া অতিভক্তি ও যত্নপূর্বক নৈবেদ্যাদি বিবিধ