পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ネ為● মহাভাগবত । এক সময়ে সকল দেবতাগণ, তারকাসুরের পীড়নে উৎপীড়িত হইয়। ব্রহ্মসদনে উপনীত হইয়া প্ৰণতি পূৰ্ব্বক র্তাহাকে এই কথা বলিতে লাগিলেন, হে ব্ৰহ্মন! তুৰ্বত্ত তারকাসুর আমাকে যে প্রকারে সতত ব্যথিত করিতেছে, আপনাকে অধিক কি বলিব, সকলই অবগত আছেন । এক্ষণে সেই দুৰ্বর্তদলনজন্য যুদ্ধার্থে বলবীৰ্য্য-সমন্বিত মহাৰাহু তারকহন্তাকে সত্বর প্রেরণ করুন । বেদব্যাস কহিলেন, এই ৰূপে লোক-পিতামহ ব্ৰহ্মা, তাহাদিগের উক্তি শ্রবণ করিয়া তাহদের সাক্ষাতেই কাৰ্ত্তিকেয়কে এই কথা বলিলেন, হে তাত শিবাত্মজ ! তুমি সকল ত্ৰিদশদিগের রক্ষাকৰ্ত্ত হইয়াছ ; অতএব এক্ষণে তারকাসুর-বিনাশ করিয়া ত্ৰিদশদিগকে রক্ষণ কর । তারকাভয়ে ভীত হইয়। দেবগণ, তোমার আশ্রয় গ্রহণ করিতেছেন, এক্ষণে তুমি দেবকণ্টক তারকাকে হনন করিয়া দেবতাগণকে নিষ্কণ্টক কর । তদনন্তর, বলবান কার্কিকেয় দেবগণের অগ্রবর্তী হইয়া স্নিগ্ধ গম্ভীর বাক্যে ব্রহ্মাকে বলিতে লাগিলেন, আমি, সমরে ভীম-বিক্রম সেই দুৰ্বত্ত দৈত্যরাজ তারকাসুরকে নিপাতিত করিব, অতএব আমার বাহন অবধারণ করুন । ভগবান ব্রহ্মা, এই প্রকারে কাৰ্ত্তিকেয় কর্তৃক কথিত হইয়া, তাহাকে বায়ুর স্যায় বেগগামী ময়ুর বাহন ও তারকামুর-বিনাশে দেশে সুবর্ণ-বিশোধিত কোটি সুর্যের স্যায় প্রভাবিশিষ্ট শক্তি প্রদান করিলেন । সেৰুপ মহাশক্তি ত্রিভুবন-মধ্যে আর দেখিতে পাওয়া যায় না । শিবাত্মজ সেই তীক্ষ শক্তি করে ধারণ করিলেন। তখন, প্রজাপতি ।