পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টক্রিংশত্তমোধ্যায় । রামচন্দ্রের বিবাহান্তে অরণ্য-যাত্রা । বেদব্যাস কহিতে লাগিলেন, (কুলগুরু) বশিষ্ঠ, রামচন্দ্র, লক্ষণ, ভরত ও শক্রম্নকে ক্রমে সকল শাস্ত্র শিক্ষা করাইলেন এবং দেবী মন্ত্রদ্বারা তাহাদিশের দীক্ষণ বিধি সম্পন্ন করিলেন । এইৰূপে র্তাহারা ক্রমশঃ সৰ্ব্বশাস্ত্রে পারদর্শী হইলেন । অনন্তর এক সময়ে মহর্ষি বিশ্বামিত্র যজ্ঞরক্ষণার্থ শ্রীরাম ও লক্ষণকে অরণ্যে লইয়। যাইবার নিমিত্ত তাহদের পিতার নিকটে প্রার্থনা করিয়া লইয়। গেলেন । দুই সহোদরে সেই স্থানে গমন করিয়াই ঘোর ৰূপিণী তারকগনিশাচরীকে নিহত করিয়া ঋষির নিকট হইতে বহুবিধ অস্ত্ৰ শস্ত্র গ্রহণ করিলেন । তদনন্তর মহাবল রামচন্দ্র, অাশ্রমে প্রবেশ করিয়া যজ্ঞ বিঘাতক সুবাহ রাক্ষসকে এক মাত্র শর নিক্ষেপ করিয়া তাহাকে দগ্ধ করিয়া ফেলিলেন এবং আপনার বাহুবল দ্বারা দপিত রামচন্দ্র, অপর শর নিক্ষেপপূর্বক রণদুমদ মারীচকে সিন্ধুসলিলে ক্ষেপণ করিলেন। তদনন্তর রাঘবেন্দ্র, মুনীন্দ্রের সহিত সত্বর গৌতমীর শাপ বিমোচন করিয়া জনকরাজধানী মিথিলা নগরীতে গমন করিলেন । হে মহামুনে ! মহাবল রামচন্দ্র, জনকপুরী প্রবেশ করিয়া মহাদেবের প্রচণ্ড কোদণ্ড ভঙ্গ করিলে পর, মিথিলাধিপতি পরম প্রীতিলাভ করিয়া বৃদ্ধরাজ দশরথকে পুত্ৰগণের সহিত স্বপুরে