পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনচত্তারিংশ অধ্যায় w6 স্মাৎ ) ঐশান কোণে মণিমাণিক্য-বিমণ্ডিত বিশুদ্ধ স্বর্ণশোধিত সিংহধ্বজ-চিহ্নিত সুন্দর মন্দির সনদর্শন করিয়া পবননন্দন, তাহাই দেবীর মন্দির বলিয়া অবধারণ করিলেন । তদনন্তর মন্দির-দ্বার-সমীপে গমন করিয়াই যোগিনীগণের সহিত ঈশানীকে কখন নৃত্য, কখন হস্ত করিতেছেন, দেখিতে পাইলেন । ( তখন ) পবনাত্মজ, কৃতাগুলিপুটে অবিচলিত ভক্তি সহকারে ত্ৰিজগন্দিনী মহাদেবীকে প্রণতিপূর্বক বলিতে লাগিলেন, হে বিশ্বেশ্বরি! দেবি ! তুমি প্রসন্ন হও । আমি শ্রীরামচন্দ্রের অনুচর, লক্ষীস্বৰূপিণী জানকীর অন্বেষণার্থ লঙ্কাপুরে উপস্থিত হইয়াছি। তুমিই দুরাত্ম। রাক্ষসেন্দ্র রাবণ-বিনাশার্থ নারায়ণকে নর লোকে প্রেরণ করিয়াছ ; আমি সাক্ষাৎ শিব হইল ও সেই কারণে বানরকলেবর ধারণ করিয়া এই স্থলে উপস্থিত হইয়াছি । হে শিবে ! তোমার আদেশ প্রতিপালন ও রাম-কাৰ্য্য সাধনাৰ্থ বানরদেহই আমার আশ্রয় হইয়াছে। হে সুরেশ্বরি ! তুমি পূৰ্ব্বে আমাদিগের নিকটে স্বীকার করিয়াছ, যে আমি লঙ্কাপুরে প্রবেশমাত্রেই তুমি ত্বদভিরক্ষিত ৩ পুরী পরিত্যাগপূর্বক স্বস্থানে প্রস্থান করিবে। অতএব এক্ষণে এই (পাপ ) পুরী পরিহার কর এবং রাক্ষসরাজকে নিহত করিয়া চরাচর বিশ্বের স্থিতি সম্পাদন করিতে থাক। দেবী তদ্বাক্যে বলিতে লাগিলেন, হে বানরবর! সীতার অবমাননা হেতু আমি (রাবণের প্রতি ) রুষ্ট হইয়াছি ; এবং পূর্ব হইতেই (৩) লঙ্কাপুরী ।