পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫২ মহাভাগবত । দ্বর্ণর ভৈরব সমুহে পরিরক্ষিত। তাহদের বিচিত্র রত্ন দণ্ড, অমোঘ শূল এবং বিশাল লোচন! দণ্ডধারিণী ভৈরবীগণ দ্বারপালনে নিযুক্ত হইয়া গান ও বাদ্য করিতেছে। সেই পুরের চতুর্দিকে বিবিধ বিচিত্র পতাকা সকল সন্নিবেশিত হইয়া দোধুয়মান হইতেছে। তাহার মধ্যভাগে বিচিত্র বহুবিধ চত্বর সকল বিরাজিত আছে। তাহার চতুর্দিকে হৰ্ম্ম্যমালাবিমণ্ডিত এবং তাহাতে অসংখ্য দ্বার রক্ষক রক্ষাকার্য্যে নিযুক্ত রহিয়াছে। দেবীর অন্তঃপুরের দ্বারদেশে গণাধিপতি গজানন দ্বাররক্ষক স্বৰূপে উপবিষ্ট আছেন। ( সেখানে ) ষড়ানন দেবীর দর্শনকাঙ্ক্ষায় ভ্রাতার সহিত ধ্যানপরায়ণ রহিয়াছেন। কোটি কোটি ব্রহ্মাণ্ডৰাসী জীবগণ এবং কোটা কোট ব্রহ্মাণ্ড সকল অবস্থিত রহিয়ছে । হে মহাবাহে রামচন্দ্ৰ ! ( অন্যকথা কি বলিব ) কোটা কোটা মুরলিধারী নারায়ণ ও কোটা কোট পিনাক ধারী পশুপতি যে সেখানে অপেক্ষা করিতেছেন তাহা বলিবার নহে। সেই সুরম্য অন্তঃপুর মধ্যে বিচিত্র মণিমগুপে সেই মহাদেবী সমুপবিষ্ট আছেন। সেই মণিমণ্ডপের চতুর্দিক মেক্তিক দ্বারা সমুদ্ভাসিত এবং প্রদীপ্ত রত্নময় স্তম্ভসংযুক্ত তোরণে সুশোভিত। রত্নপ্রদীপ এবং পুজোপচার দ্বারা দিজুগুল সুপ্রসন্ন। তন্মধ্যে বিদ্যুৎপুঞ্জের ন্যায় প্রভাশালী সুরম্য সিংহাসনোপরি তিনি শোভ পাইতেছেন। তপ্তকাঞ্চন এবং দীপ্তিমান সহস্র রশ্মির স্থায় উছার অঙ্গপ্রভা। র্তাহার বদন সুপ্রসন্ন এবং শরৎকালের নিশানাথের স্যায় দিব্যকাস্তিবিশিষ্ট। তিনি ভাস্বর