পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

るミe মহাভাগবত | জামা হইতে সংঘটিত হইবেক । আর অধিক কি কহিব, আমি বৈকুল্যহৃদয় হইয় আপনাদের অবশ্ন কর্তব্য যে গোচারণ, তাহতেও সকল দিবস উ হাদিকে পঠাইতে সম্মত হইতে পারি না। আর ইহাও জানিবেন যে আমার প্রাণাধিক রাম কৃষ্ণ, ছিদামাদি রাখাল-শিশুগণেরও প্রিয়তম সখা ; সুতরাং গোচারণার্থে গোষ্ঠে গমনকালে তাহারা যখন আমার নিকট আসিয়া কহে, হে মাতঃ যশোমতি ! তোমাদের রাম কৃষ্ণকে আমাদের সহিত গোচারণে প্রেরণ কর, আমরা আজ দূরবনে গমন না করিয়া পূরীর সন্নিকটস্থ কাননপ্রদেশে ক্রীড়া ও গোচারণ করিব | তখন আমি তাহদের বক্যামুসারে এক এক দিন উহাদিগকে প্রেরণ করিয়া থাকি, কিন্তু তাহদের প্রত্যাগমনকাল পর্য্যন্ত মনঃসংযত করত পাগলিনীর ন্যায় পথ নিরীক্ষণ করিয়া থাকি । অতএব যখন এত সন্নিহিত প্রদেশে প্রেরণ করিয়াও সুস্থ এবং স্থির থাকিতে পারি না, তখন আপনি ক্ৰি ৰূপে তাহ। দিগকে বহু যোজনবিস্তুত পথ যেই মধুপুরী লইয়া যাইবেন। এই ৰূপ বলিতে বলিতেই রাণীর নয়নযুগল অশ্রুজলে পরিপ্লুত হইয়া উঠিল, এবং তিনি কৃষ্ণকে নন্দগোপ হইতে গ্রহণ করিবার অভিলাষে হস্ত প্রসারিত করিয়া রহিলেন, তখন গোপেশ্বর আস্তে ব্যস্তে নিজাঙ্ক হইতে নন্দনকে যশোদার হস্তে সমপর্ণ করিলে, তিনি তঁহাকে বক্ষে ধারণ করিলেন । কিয়gপরিমাণে যশোমতীর সুস্থভাব অবলোকন