পাতা:মহাভাগবত পুরাণ প্রথম খণ্ড.pdf/৪৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3Rg মহাভাগবত্ত । অতঃপর পুত্র-বিয়োগভীতা যশোদ, রোরুদ্যমান, সমদুঃখিনী রোহিণীর নিকট হইতে বলদেবকে নিজাঙ্কে ধারণ করিয়া মুখচুম্বন করত সাদর ও সস্নেহ সম্ভাষণে কহিলেন, বৎস বলভদ্র ! এখন বিদেশ গমনে তোমার কি অভিমত হয়, তাহ প্রকাশ কর । তখন জননীর এতাদৃশ বচন আকর্ণন করিয়া রাম সুললিত ও গম্ভীরস্বরে কৃষ্ণের মতেরই পোষকতা করিলেন, এবং কহিলেন মাতঃ ! কিছুদিনের নিমিত্ত আমাদের দুরদেশ গমনজন্য আপনার ভীত বা উৎকণ্ঠিত হইবেন না। প্রবল আরাতি কর্তৃক আমাদের জীবনের কোন আশঙ্কা বর্ণরবেন না, কারণ আপনাদের আশীৰ্ব্বাদে আমরা ত্রিভুবনের অজেয়। অতএব চিন্ত৷ দূর করুণ, আপনাদের ভীত হইবার কোন কারণই এখন দেখি না। এই বলিয়া তাহীকে প্রবোধ দান করত ৰলরাম কৃষ্ণের সহিত সম্মিলিত হইলেন । রাম ও কৃষ্ণের বাক্যানুসারে যদিও যশোদা অনেক আশ্বস্ত হইয়াছিলেন ; তথাপি পুত্রের অদর্শন-জনিত দুঃখ অদূরবপ্তি জানিয়া শোকাবেগ সম্বরণে অসমর্থ হইয়াছিলেন। ভাবী দুঃখের আশঙ্কায় স্বভাবতই পূর্বে অনেক প্রকার দুর্নি মিত্ত দর্শন হয়। কৃষ্ণমতা যশোদাও সেজন্য মধ্যে মধ্যে নানা প্রকার বিভীষিক দর্শন করিতেন । তিনি ক্ষণে ক্ষণে চমকিত ও রোমাঞ্চিত গাত্রা হইলেও এতাদৃশ অবস্থার কারণ কিছুই নিশ্চয় করিতে পাfরলেন না ; সুতরাং মন্দিগ্ধমনা হইয়া রামকে জিজ্ঞাস। করিলেন, বৎস বলভদ্র ! তোমরা অদ্যইত মধু