পাতা:মহাভারতম্ (হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ) খন্ড ১.djvu/৫৬

8Տ যুধিষ্ঠিরের সময় “কলিযুগাবাস্তববিশেষং বক্ত,মাহ-আরভ্যেতাদিন। বর্ষসহস্রং পঞ্চদশোত্তবং শতঞ্চেতি কন্নপি বিবক্ষয় অবান্তরসংখ্যেম্নমা শ্ৰীধবম্বামিকৃত টীকা । ইহাব তাৎপৰ্য্য এই—“এই যে এক হাজাব এক শত পনব সংখ্যা বলিযাছেন, ইহ শুকদেব কোন উদেখবশতঃ কোন বৃহত্তব সংখ্যাব অন্তর্গত সংখ্যাই বলিযৗছেন।” ইহাতে বেশ বুঝা গেল যে, ঋষিকল্প প্রধবস্বামীব মতেও পৰীক্ষিতেব জন্মকাল হইতে নন্দেব অভিষেককালেব মধ্যে এক হাজীব এক শত পনব বৎসব অপেক্ষ অনেক অধিক বৎসব গিষাছিল। এখন যদি অপব পক্ষ শ্ৰীধবস্বামীব এই যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যাটকেও প্রক্ষিপ্ত বলিযা অগ্রাহ কবেন, তবে আমাদেব বাধ্য হইযাই সেই দাযভৗগলিখিত জীমূতবাহনেব উপহাসোক্তিটব উল্লেখ কবিতে হইবে যে, “পল্লমপ্রেক্ষাবন্মান-গৌতম-দক্ষণদিপ্রযুক্তপদীনাং প্রতিক্ষণমৰিৰক্ষামাচক্ষণঃ স্বস্যৈব সাক্ষাদবিবক্ষিভত্বং খ্যণপন্নতি।” তা’ব পব, বঙ্কিমবাবু, হিন্দুসভ্যতাব অর্বাচীনতাবাদী যে সাহেবদেব উপর-নানাবিধ ব্যঙ্গোক্তি কবিতে ছাডেন নাই, সেই সাহেবদেব মধ্যেই হিপার্কস ও মাস্কোলাইনেব দেখাব উপব নির্ভব কবিয, জ্যোতিষগণনা দেখাইয, তাহার কৃষ্ণচবিত্রে এক প্রোঁচিবাদ বলিয়াছেন যে, “ভবসা কবি, এই সকল প্রমাণেব পব অব কেহই বলিবেন না যে, মহাভাবতেব যুদ্ধ দ্বীপবেব শেষে পাঁচ হাজাব বৎসব পূৰ্ব্বে হইযাছিল।” আমবা কিন্তু ঐ সাহেব দুইটীব দেখাকে অভ্রান্ত বলিয়া মনে কবি না, স্বতবাং বঙ্কিমবাবুর এই সিদ্ধান্তকেও অভ্রান্ত বলিযা স্বীকাব কবি না । এখন দেখা যাউক, প্রকৃত সিদ্ধান্ত ঠিক বাধিষ শ্ৰীমদ্ভাগবত ও বিষ্ণুপুরাণেব ঐ বচনগুলিব সামঞ্জস্ত কবা যাষ কি না। আমবা পূৰ্ব্বেই সিদ্ধান্ত কবিয়া আসিযাছি যে, আজ (১৯৩০ খৃষ্টাব্দ) হইতে ৫০৩১ বৎসব পূৰ্ব্বে কুরুপাওবেব যুদ্ধ হইযাছিল, অব ইহাও যুক্তিব সাহায্যে বলিযাছি যে, কুরুপাণ্ডবসম্বন্ধে মহাভাবতেব প্রমাণই সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রবল এবং অন্যান্য প্রমাণ দুৰ্ব্বল , তৎপরে আবাব দেখাইযাছি যে, পবম্পব বিবোধস্থানে প্রবল প্রমাণেব যথাশ্রত অর্থ বাধিয দুৰ্ব্বল প্রমাণের অর্থাস্তব কবিতে হইবে। পাঠকমহোদয়গণ । এইগুলি মনে বাধিয়া পর্য্যালোচনা কবিবেন। “অন্তরে চৈব সম্প্রাপ্তে কলিদ্বাপরয়োরভূং। সমস্তপঞ্চকে যুদ্ধং কুকপাগুবসেনয়োঃ " এই মহাভাবতোক্ত প্রবল প্রমাণেব সঙ্গে শ্ৰীমদ্ভাগবত ও বিষ্ণুপুৰাণোক্ত “আরভ্য ভবতে জন্ম যাবল্লন্দাভিযেচনম্।" এতদ্বর্যসহস্রন্তু শতং পঞ্চদশোত্তরম্ " এই বচনেববিরোধ হয বলিযl,“পঞ্চদশোত্তবমূখ এই পঞ্চদশ শব্দের অর্থ পঞ্চদশ শভ । ইহাতে লক্ষণ হইল বটে, তবে তাঁহা অজহংস্থার্থ বলিযা তত দোষাবহ নহে ; বিশেষতঃ ঋষিকল্প শ্ৰীধবস্বামীই এই লক্ষণা কবিবাব ইঙ্গিত কবিষ, গিযাছেন। তাঁহা আমরা অনতিপূৰ্ব্বেই দেখাইয়াছি। স্বতবাং এই শ্ৰীমদ্ভাগবত ও বিষ্ণুপুরাণের বচনেই পাওয়া গেল ১০০০+১০০ +১৫০০ = ২৬০০ বৎসর l তা’র পর,