পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষোড়শ অধ্যায়—আস্তীকপর্ব্ব।

শৌনক কহিলেন, হে সূতনন্দন! তুমি যাহা বর্ণন করিলে, পুনর্ব্বার তাহারই বিস্তারিত বর্ণনা কর, আস্তীকের সবিস্তর বৃত্তান্ত শ্রবণে আমাদিগের মহীয়সী বাসনা জন্মিয়াছে। তুমি যাহা কীর্ত্তন করিতেছ, তাহা অতি ললিত ও মধুর বোধ হইতেছে; আমরা শুনিয়া পরম পরিতোষ পাইতেছি। তুমি পুরাণ কীর্ত্তন বিষয়ে আপন পিতার ন্যায় পাণ্ডিত্য প্রকাশ করিতেছ। তোমার পিতা যেমন অনন্যমনাঃ ও অনন্যকর্ম্মা হইয়া আমাদিগকে সম্পূর্ণরূপে পুরাণ শ্রবণ করাইয়াছিলেন, এক্ষণে তুমিও সেইরূপ শ্রবণ করাও।

 উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, হে মহাভাগ! আমি আপন পিতার নিকট আস্তীকোপাখ্যান যেরূপ শ্রবণ করিয়াছি, আপনার নিকট অবিকল সেইরূপ কীর্ত্তন করিতেছি, শ্রবণ করুন।

 সত্যযুগে কদ্রু ও বিনতা নামে দক্ষ প্রজাপতির দুই সুলক্ষণা পরম সুন্দরী কন্যা ছিলেন। ঐ দুই ভগিনীর কশ্যপের সহিত বিবাহ হয়। মহাত্মা কশ্যপ সেই দুই ধর্ম্মপত্নীর প্রতি প্রসন্ন হইয়া বর প্রদান করিলেন। তাঁহারাও কশ্যপের নিকট স্ব স্ব অভিলাষানুরূপ বর প্রাপ্ত হইয়া সাতিশয় হর্ষ ও পরিতোষ প্রাপ্ত হইলেন। কদ্রু তুল্যতেজস্বী সহস্র নাগ পুত্র প্রার্থনা করিলেন। কিন্তু বিনতা এই বর লইলেন যে, আমার দুইটি মাত্র পুত্র হউক, কিন্তু তারা যেন কদ্রুর সহস্র পুত্র অপেক্ষা বলে, বিক্রমে, ও কলেবরে শ্রেষ্ঠ হয়। কশ্যপ তাঁহাকে