পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আস্তীকপর্ব্ব।
১১৩

দগ্ধ করিল। তদ্ব্যতীত অন্য নানা বনচর ঐ হুতাশনের আহুতি হইল। হুতাশন এই রূপে ইতস্ততঃ দাহ আরম্ভ করাতে, দেবরাজ ইন্দ্র মেঘসম্ভুত সলিলসেক দ্বারা তাহার শান্তি সম্পাদন করিলেন।

 তদনন্তর মহাদ্রুমগণের নির্যাস ও অশেষবিধ ওষধিরস সাগরসলিলে গলিয়া পড়িতে লাগিল। সেই সমস্ত অমৃতগুণসম্পন্ন রসের ও কাঞ্চননিবের প্রভাবে সুরগণ অমরত্ব প্রাপ্ত হইলেন। অর্ণবারি উক্তৰিধ রস, কাঞ্চননি, ও অন্যান্য বহুবিধ উৎকৃষ্ট রসে মিশ্রিত হইয়া ক্ষীররূপে পরিণত হইল। সেই ক্ষীর হইতে ঘৃত উৎপন্ন হইল।

 অনন্তর দেবতারা পদ্মাসনে আসীন বরদ ব্রহ্মার নিকটে আসিয়া নিবেদন করিলেন, ভগবন্! দেবাদিদেব নারায়ণ ব্যতিরেকে আমরা সমুদায় দেব দানব একান্ত ক্লান্ত হইয়াছি। কোন্ কালে মস্থন আরম্ভ করা গিয়াছে, এখন পর্যন্তও অমৃত উদ্ভূত হয় নাই। তখন ব্রহ্মা নারায়ণকে কহিলেন, তুমি ইহাদিগের বলাধান কর; তোমা ব্যতিরেকে এ বিষয়ে আর গতি নাই। নারায়ণ কহিলেন, যাহারা এই ব্যাপারে নিযুক্ত আছে, তাহাদিগের সকলকেই আমি বল প্রদান করিতেছি। সকলে মিলিত হইয়া মন্দর পরিভ্রমণ দ্বারা সরিৎপতিকে আলোড়িত করুক।

 সমুদায় দেব ও দানৰ নারায়ণের বচন শ্রৰণ মাত্র বল প্রাপ্ত ও একবাক্য হইয়া পুনর্বার প্রবল রূপে জলধিমন্থন আরম্ভ করিলেন। তদনন্তর মধ্যমান অন্ত্যেধির গর্ভ হইতে শীতলময়ুখসম্পন্ন সৌম্য ও প্রসন্নমূর্ত্তি চন্দ্র উৎপন্ন হইলেন। শ্বেতসয়োজসমাসীনা লক্ষী, সুরাদেবী, ও শ্বেতবর্ণ অশ্বরত্ন

১৫