পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আস্তীকপর্ব্ব।
১৫৫

যাহা কহিলে, ইহাতে আমি সন্তুষ্ট হইলাম, অভিলষিত বর প্রার্থনা কর। তখন গরুড় কপুত্রগণের দৌরাত্ম্য ও ছলকৃত মাতৃদাস্ত স্মরণ করিয়া কহিলেন, আমি সকলের প্রভু হইয়াও তোমার নিকট এই প্রার্থনা করিতেছি যে, মহাবল ভুজগগণ আমার ভক্ষ্য হউক। দেবরাজ গরুড়কে তথাস্তু বলিয়া, মহাত্মা দেবদেব যোগীশ্বর হরির নিকট উপস্থিত হইলেন। তিনি শুনিয়া গরুড়োক্ত বিষয়ে স্বীয় সম্মতি প্রদান করিলেন। অনন্তর ভগবান্ ত্রিদশনায়ক পুনর্বার গরুড়কে কহিলেন, তুমি অমৃত স্থাপন করিলেই আমি হরণ করিয়া আনিব,

 এইরূপ সম্ভাষণ করিয়া দেবরাজ বিদায় হইলে, গরুড় মাতৃসমীপে উপস্থিত হইলেন, এবং হৃষ্ট মনে সমস্ত সর্পদিগকে কহিলেন, আমি অমৃত আনিয়াছি, কুশের উপর রাখিয়া দিব; তোমরা স্বরায় স্নান ও মঙ্গলাচরণ করিয়া পান কর। দেখ, তোমরা যেরূপ কহিয়াছিলে, আমি তাহাই সম্পাদন করিলাম; অতএব অদ্য প্রভৃতি আমাৱ জননী দাসীভাব হইতে মুক্ত হউন। সর্পেরা তাহাকে তথাস্তু বলিয়া স্নান করিতে গেল; এবং ইন্দ্রও অবসর বুঝিয়া আগমন পূর্ব্বক অমৃত গ্রহণ করিয়া পুনর্বার স্বর্গারোহণ করিলেন। সর্পেরা স্নানক্রিয়া জপবিধি ও মঙ্গলাচরণ সমাধান করিয়া হৃষ্ট চিত্তে অমৃতপানাভিলাষে সেই প্রদেশে উপস্থিত হইল। কিন্তু গরুড় যে কুশাসনে রাখিবেন বলিয়াছিলেন, তথায় অমৃত না দেখিয়া বিবেচনা করিল, আমরা যেমন দুল করিয়া বিনতাকে দাসী করিয়াছিলাম, তেমনই ছল করিয়া অমৃত গ্রহণ করিয়াছে। পরে, এই স্থানে অমৃত রাখিয়াছিল বলিয়া, তাহারা কুশাসন চাটিতে লাগিল, এবং তাহাতেই তাহাদের জিহ্বা দুই