পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষট্‌চত্বারিংশ অধ্যায়— আস্তীকপর্ব্ব।

উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, জরৎকারু, পিতৃগণের এই প্রকার কাতবোক্তি শ্রবণে একান্ত শোকাভিভূত হইয়া, অশ্রুজলপূর্ণ লোচনে অর্দ্ধস্ফুট বচনে তাহাদিগকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, হে ঋষিগণ! আপনারা আমার পূর্ব্ব পুরুষ, আমারই নাম জরৎকারু, আমি আপনাদিগের অপরাধী সন্তান, অতি পাপাত্মা ও অক্বভাত্মা, অতএব আপনারা আমার যথোচিত দণ্ডবিধান করুন এবং আজ্ঞা করুন, আপনাদিগের মঙ্গলের নিমিত্ত আমাকে কি করিতে হইবেক? পিতৃগণ কহিলেন, বৎস! তুমি আমাদিগের ভাগ্যবশতঃ যদৃচ্ছাক্রমে এই স্থানে উপস্থিত হইয়াছ। তোমাকে জিজ্ঞাসা করি, তুমি কি নিমিত্ত এ পর্যন্ত দারপরিগ্রহ কর নাই? জরৎকারু কহিলেন, হে পিতামহগণ? আমার বাসনা এই, আমি উৰ্দ্ধরেতাঃ হইয়া দেহ পরিত্যাগ করিব! আমি দারপরিগ্রহ করি না, এই আমার একান্ত ইচ্ছা এক্ষণে, আপনাদিগকে এই গর্তে পক্ষীর ন্যায় লম্বমান দেখিয়া, ব্রহ্মচর্য হইতে নিবৃত্ত হইলাম। আমি আপনাদিগের অভিপ্রেত সম্পাদনার্থে নিঃসন্দেই দারপরিগ্রহ করিব। যদি কখনও সনাম্নী কন্যা প্রাপ্ত হই, যদি সেই কন্যা বিনা প্রার্থনায় স্বয়ং উপস্থিত হয়, আর যদি তাহার ভরণ পোষণ করিতে না হয়, তবে তাহার পাণিগ্রহণ করিব। হে পিতামহগণ! আমি যথার্থ কহিতেছি, আপনাদিগের অনুরোধে আমি এই নিয়মে দারপরি গ্রহে সম্মত আছি, প্রকারান্তরে তদ্বিষয়ে প্রবৃত্ত