পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আস্তীকপর্ব্ব।
১৮৯

হইব না। এই প্রকারে পরিণীতা ভার্যার গর্ভে আপনাদিগের উদ্ধারক সন্তান উৎপন্ন হইবেক, এবং আপনারাও অক্ষয় স্বর্গ লাভ করিবেন।

 উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, হে শৌনক। জরৎকারু পিতৃগণকে এইরূপ কহিয়া ভূমণ্ডলে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন; কিন্তু বৃদ্ধ বলিয়া ভার্যালাভে কৃতকার্য হইতে পারিলেন না। তখন তিনি নির্বিণ্ন মনে অরণ্যে প্রবেশ করিলেন, এবং পিতৃগণের হিসাধন মানসে কালভার্থে উচ্চৈঃস্বরে তিন বার এই বাক্য উচ্চারণ করিলেন, এই স্থলে যে সমস্ত স্থাবর জঙ্গম অথবা অদৃষ্ট প্রাণী আছে, তাহারা আমার বাক্য শ্রবণ করুক; আমি অতি কঠোর তপস্যায় কালযাপন করিতেছিলাম, কিন্তু আমার পূর্ব্ব পুরুষের অতিশয় কাতর হইয়া বংশরক্ষার্থে আমারে দারপরি গ্রহের আদেশ প্রদান করিয়াছেন, তদনুসারে আমি দারপরি গ্রহে কৃতসংকল্প হইয়া কন্যালভার্ধে সমস্ত ভূমণ্ডল ভ্রমণ করিয়াছি, আমি দরিদ্র ও দুঃখশীল, আমার উল্লিখিত প্রাণিসমুহের মধ্যে যদি কাহারও কন্যা থাকে, তিনি আমাকে প্রদান করুন, কিন্তু যে কন্যা সনাম্নী ও ভিক্ষা স্বরূপে উপনীত হইবেক, এবং আমাকে যাহার ভরণ পোষণের ভার গ্রহণ করিতে হইবেক না, আমাকে তোমরা এরূপ কন্যা প্রদান কর। বাসুকি যে সকল নাগকে জরৎকারুর অম্বেষণে নিযোজিত করিয়াছিলেন, তাঁহারা তাহার নিকটে গিয়া এই সংবাদ প্রদান করিল। নাগরাজ বাকি শ্রবণমাত্র আপন ভগিনীকে বস্ত্রালঙ্কারে ভূষিত করিয়া, অরণ্য প্রবেশ পূর্বক জরৎকারুসমীপে উপস্থিত হইয়া, তাঁহাকে ভিক্ষা স্বরূপে প্রদান করিলেন। কিন্তু সেই কন্যা সনাম্নী কি না ও