ঊনপঞ্চাশ অধ্যায়— আস্তীকপর্ব্ব।





শৌনক কহিলেন, রাজা জনমেজয় নিজ মন্ত্রীদিগকে আত্মপিতার স্বর্গারোহণ বিষয়ে যাহা জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, তাহা তুমি আমার নিকট পুনর্বার সবিস্তর বর্ণন কর। উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, হে ব্রহ্মন্! রাজ। মন্ত্রীদিগকে যেরূপ জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, এবং মন্ত্রীরা পরীক্ষিতের পরলোেকপ্রাপ্তির বিষয় যেরূপ বর্ণন করিয়াছিলেন, শ্রবণ করুন। জনমেজয় কহিলেন, হে অমাত্যগণ! আমার ভুবনবিখ্যাত অভিযশস্বী পিতা কালবশ হইয়া যে রূপে নিধন প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাহা তোমরা সবিশেষ জান, এক্ষণে তোমাদিগের নিকট পিতৃবৃত্তান্ত আদ্যোপান্তু শ্রবণ করিয়া তদীয় হিতসাধনে যত্নবান্ হইব, কিন্তু তদুপলক্ষে কদাচ অন্যের অহিচরণ করিব না।
ধর্ম্মবেত্তা প্রজ্ঞাগুণসম্পন্ন মন্ত্রিগণ, মহাঙ্গা নৃপতিকর্ত্তৃক ক এই রূপে জিজ্ঞাসিত হইয়া, নিবেদন করিলেন, মহারাজ! আপনকার মহাত্মা রাজাধিরাজ পিতার যেরূপ চরিত্র ছিল 'ও যে রূপে তাঁহার লোকাত্তর প্রাপ্তি হয়, তৎসমুদায় শ্রবণ করুন। আপনকার ধর্মাত্মা মহাত্মা প্রজাপালনতৎপর পিতা যাদৃশ গুণসম্পন্ন ছিলেন, তাহা বর্ণন করিতেছি। সেই ধর্ম্মবো রাজা মুর্তিমান্ ধর্ম্মের স্যায় ধর্ম্মতঃ প্রজাপালন করিয়াছিলেন। ভঁহাজধকারকালে চারি বর্ণ স্ব স্ব ধর্ম্মে রত ছিল। সেই অতুলবিক্রমশালী মান্ ভূপতি পৃথ্বীদেবীকে ন্যায়ানুসারে রক্ষা করিয়াছিলেন। তাঁহার কেহ দ্বেষ্টা ছিল না, তিনিও