পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষটৃপঞ্চাশ অধ্যায়— আস্তীকপর্ব্ব।

জনমেজয় কহিলেন, এই ব্রাহ্মণকুমার বয়সে বালক হইয়াও বুদ্ধি ও জ্ঞানে বৃদ্ধবৎ প্রতীয়মান হইতেছেন। আমার মতে ইনি বালক নহেন, বৃদ্ধ। আমি ইহাকে অভিলষিত প্রদান করিতে ইচ্ছা করি। হে সদস্যগণ! আপনারা এ বিষয়ে যথাবিহিত আদেশ করুন। সদস্যগণ কহিলেন, ব্রাহ্মণ বালক হইলেও রাজাদিগের মহামান্য; যে ব্যক্তি বিদ্বান হন, তিনি বিশেষ মান্য। ইনি মহারাজের সর্ব্বপ্রকার বরদানপাত্র। কিন্তু নাগরাজ তক্ষক যাহাতে মন্ত্রবলে আকৃষ্ট হইয়া ত্বরায় আমাদের বশে আইসে, তাঁহাও চিন্তা করা কর্তব্য।

 অনস্তর রাজা অভিলষিত দানে উদ্যত হইয়া, তুমি অভিপ্রেত বর প্রার্থনা কর, আস্তীককে ইহা কহিতে উপক্রম করিবামাত্র, হোতা অনতিহৃষ্ট, চিত্তে রাজাকে কহিলেন, মহারাজ! ভক্ষক এখনও আইসে নাই। জনমেজয় কহিলেন, যাহাতে আমার এই কর্ম্ম সমাপন হয়, এবং যাহাতে তক্ষক শীঘ্র আইসে, আপনারা সকলে তদ্বিষয়ে বিশিষ্টরূপ যত্নবান হউন, তক্ষক আমার পরম শত্রু। ঋত্বিকগণ কহিলেন, মহারাজ। শাস্ত্রে যেরূপ কহিতেছে, এবং যজ্ঞীয় হুতাশন যেরূপ ব্যক্ত করিতেছেন, তদ্দারা বোধ হইতেছে, তক্ষক প্রাণভয়ে কাতর হইয়া ইন্দ্রভবনে অবস্থিতি করিতেছে।

 লোহিতনয়ন পুরাণবেত্তা মহাত্মা সূত পূর্ব্বে যজ্ঞায়তন নির্মাণকালে বিপ্লসম্ভাবনা কহিয়াছিলেন। এক্ষণেও নরপতি