পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২২
মহাভারত।

প্রাতঃকালে আমার এই উপাখ্যান পাঠ করিবেক, এই বর দাও, যেন তোমাদের হইতে তাহাদিগের কোনও ভয় থাকে না। নাগগণ প্রীত ও প্রসন্ন হইয়া কহিল, হে ভাগিনেয়। তুমি যে প্রার্থনা করিলে, আমরা প্রীত চিত্তে নিঃসন্দেহ তাহা সম্পাদন করিব।

 যে ব্যক্তি দিবাভাগে অথবা রাত্রি কালে অসিত, আর্ত্তিমান, ও সুনীথকে স্মরণ করিবে, তাহার সর্পভয় থাকিবে না। মহাভাগ নাগগণ! যে মহাযশস্বী মহাপুরুষ মহর্ষি জরৎকারুর ঔরসে নাগভগিনী জরৎকারুর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন, এবং যিনি জনমেজয়ের সর্পসত্রে তোমাদিগের রক্ষা করিয়াছেন, আমি তাঁহাকে স্মরণ করিতেছি; অতএব তোমাদের আমাকে হিংসা করা উচিত নহে। হে মহাবিষ সর্প! অপসৰ্পণ কর, তোমার মঙ্গল হউক, চলিয়া যাও, জনমেজয়ের যজ্ঞান্তে আস্তীক যে বাক্য কহিয়াছিলেন, তাহা স্মরণ কর। যে সর্প আস্তীকবাক্য শুনিয়া নিবৃত্ত না হয়, তাহার মস্তক শিংশবৃক্ষফলের ন্যায় শত খণ্ডে বিদীর্ণ হইয়া যায়।

 উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, দ্বিজেন্দ্র আস্তীক সমাগত ভুজগগণ কর্ত্তৃক এই প্রকার উক্ত হইয়া, পরম প্রীতি প্রাপ্ত ও গমনাভিলাষী হইলেন। তিনি ভুজগগণকে সর্পসত্রভয় হইতে মুক্ত করিয়া পুত্র পৌত্র রাখিয়া যথাকালে কাল প্রাপ্ত হইলেন। হে ঋষিপ্রবর! আমি আপনার নিকট আস্তীকের উপাখ্যান যথাবৎ কীর্ত্তন করিলাম। এই উপাখ্যান কীর্ত্তন করিলে কখনও সপর্ভয় থাকে না। হে ভৃগুকুলাবতংস! আপনকার পূর্ব্ব পুরুষ ভগবান্ প্রমতি, স্বীয় পুত্র রুরু কর্ত্তৃক জিজ্ঞাসিত হইয়া, প্রীতিপ্রফুল্ল চিত্তে অস্তীকের পরম পবিত্র চরিত্র যেরূপ কীর্ত্তন