পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতপ্রশংসা।
২৩৩

সম্পাদন করে ___ ছিলেন? হে তপোধন! এই সমস্ত বৃত্তান্ত অজ্ঞানতঃ মনুষ্য __রুষেরা তৎকালে যে সকল কর্ম্ম করিয়াছিলেন, তাহা নষ্ট হই__ন করুন।

 ইহাতে লিখিত কহিলেন, মহারাজ! ক্ষণ কাল বিলম্ব করুন, যিনি ম___নকীর্ত্তিত অতি সুবিস্তৃত পবিত্র আখ্যান কীর্ত্তন স__তে হইবে। মহাত্মা মহাতেজাঃ সর্ব্বলোকপূজিত মহর্ষি বেদব্যাসের সমুদায় অভিপ্রায় ক্রমে ক্রমে বর্ণনা করিতেছি। অমিততেজা সত্যবতীতনয় পবিত্র লক্ষ শ্লোক দ্বারা এই বিষয় বিস্তারিত রূপে বর্ণনা করিয়াছেন। যে বিদ্বান ইহা পাঠ করেন ও যাঁহারা শ্রবণ করেন, তাঁহাৱা সকলেই ব্রহ্মলোকে গমন করিয়া দেবতুল্যতা প্রাপ্ত হন। মহর্ষি প্রণীত এই উৎকৃষ্ট পুরাণ বেদতুল্য, পবিত্র, সুশ্রাব্য ও ঋষিগণপূজিত। এই পরম পবিত্র ইতিহাসে অর্থ, কাম ও তত্ত্ব জ্ঞানের যথার্থ লক্ষণ স্পষ্ট রূপে উপদিষ্ট হইয়াছে। বিদ্বান ব্যক্তি দানশীল সত্যবাদী ধার্ম্মিক মহাত্মাদিগকে এই ব্যাসপ্রণীত বেদ শ্রবণ করাইয়া অর্থ লাভ করেন। চন্দ্র যেরূপ রাহু হইতে বিনির্ম্মুক্ত হয়েন, সেইরূপ লোকেরা দুরাত্মা হইলেও এই পুরাণ পাঠে ভ্রূণহত্যাদি মহাপাপ হইতে নিঃসন্দেহ পরিত্রাণ পায়। এই ইতিহাসের নাম জয়, অতএব বিজিগীষুদিগের ইহা শ্রবণ করা কর্ত্তব্য। ইহা শ্রবণ করিলে পৃথিবী জয় ও অরাতি পরাজয় করিতে পারেন। ইহা মহৎ স্বস্ত্যয়ন ও পুংসবন সংস্কার স্বরূপ; যুবরাজ মহিষীর সহিত ইহা বারংবার শ্রবণ করিলে, তাঁহাদিগের অতি বীর্য্যশালী পুত্র ও রাজ্যভাগিনী কন্যা জন্মে। অপরিমিত-বুদ্ধিশালী মহর্ষি বেদব্যাস, ধর্ম্মশাস্ত্র অর্থশাস্ত্র, ও মোক্ষশাস্ত্রস্বরূপ এই ভারত রচনা করিয়াছেন। এই ভারত বর্ত্তমান কালে