পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পর্ব্বসংগ্রহ।
৪৩

মন্ত্রণা, তাঁহার দুষ্ট অভিপ্রায় জানিতে পারিয়া ব্যাসের সত্বর আগমন, ব্যাস কর্তৃক দুর্য্যোধনাদির বনগমন নিবারণ, সুরভির উপাখ্যান, মৈত্রেয়ের ধৃতরাষ্ট্রসমীপে আগমন, মৈত্রেয়ের ধৃতরাষ্ট্রকে উপদেশ দান, মৈত্রেয়ের রাজা দুর্য্যোধনকে শপ প্রদান, ভীমসেন কর্তৃক সংগ্রামে কিষ্মীর রাক্ষস বধু, শকুনি ছল পূর্বক দ্যূত পাবদিগকে পরাজিত করিয়াছে শুনিয়া বৃষ্ণিবংশীয় ও পাঞ্চালদিগের আগমন, জাতক্রোধ কৃষ্ণের অর্জুন কর্তৃক সান্ত্বনা, কৃষ্ণের নিকট দ্রৌপদীর বিলাপ ও পরিতাপ, দুঃখাত্তা দ্রৌপদীকে কৃষ্ণের আশ্বাস প্রদান, সৌভপতি শাল্বের বধ কীর্ত্তন, কৃষ্ণ কর্তৃক সপুত্র সুভদ্রার দ্বারকানয়ন, ধৃষ্টদ্যুম্ন কর্তৃক দ্রৌপদীতনয়দিগের পাঞ্চাল নগর নয়ন, পাণ্ডবদিগের রমণী দ্বৈতবনে প্রবেশ, তথায় দ্রৌপদী ও ভীমের সহিত যুধিষ্ঠিরের কথোপকথন, ব্যাসদেবের পাণ্ডবসমীপে আগমন ও যুধিষ্ঠিরকে প্রতিস্মৃতিনামক বিদ্যাদান, যাদের অন্তর্ধানের পর পাণ্ডবদিগের কাম্যকবন প্রস্থান, অলাভার্থে মহাবীর্য অর্জুনের প্রবাস গমন, কিরতিরূপী মহাদেবের সহিত যুদ্ধ, ইন্দ্রাদি লোকপাল দর্শন, অস্ত্র লাভ, অস্ত্র শিক্ষার্থে ইন্দ্রলোক গমন, পাণ্ডববৃত্তান্ত শ্রবণে ধৃতরাষ্ট্রের চিন্তা, পাণ্ডবদিগের পরম জ্ঞানী মহর্ষি বৃহদশের দর্শন, দুখার্ত যুধিষ্ঠিরের বিলাপ ও পরিতাপ, ধর্ম ও করুণরসজনক নলোপাখ্যান, দময়ন্তী ও নলের চরিতকীর্ত্ত, যুধিষ্ঠিরের বৃহদ হইছে হৃদয়নামক বিদ্যা প্রাপ্তি, স্বর্গ হইতে লোমণ ঋষির পাণ্ডবদিগের নিকটে আগমন, বনবাসগত মহাত্মা পাণ্ডবদিগের নিকটে লোমশ কর্তৃক স্বর্গবাসী অর্জুনের বৃত্তান্তকথন, অর্জুনবাক্য আছে। এ পাণ্ডবদিগের তীর্ঘাষ্ঠিগম, তীর্থের ফল ও পবিত্রত্ব কীর্ত্তম, মহর্ষি নারদের পুলস্ত্যতীর্থ যাত্রা