পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
মহাভারত।

রাজাদিগকে স্বীয় যোগেশ্বরত্ব প্রদর্শন করিলেন। অনন্তর কর্ণকে নিজ রথে আরোহণ করাইয়া তাহার সহিত অশেষবিধ পরামর্শ করিলেন। কর্ণ গান্ধতা প্রযুক্ত তদীয় পরামর্শ গ্রাহ্য করিলেন। শত্রুঘাতী কৃষ্ণ হস্তিনা হইতে উপপ্লব্যে প্রত্যাগমন করিয়া পাণ্ডবদিগের নিকট আদ্যোপান্ত অবিকল বর্ণনা করিলেন। তাহারা তদীয় বাক্য শ্রবণ করিয়া হিতাহিত মন্ত্রণ পূর্বক সংগ্রামের সমুদায় সজ্জা করিলেন। তদনন্তর সমুদায় পদাতি, অশ্ব, রপ, গজ, যুদ্ধার্থে হস্তিনানগর হইতে নির্গত হইল। রাজা দুর্যোধন যুদ্ধারম্ভের পূর্ব দিবসে উলূকনামক এক ব্যক্তিকে দৌত্যকার্যে নিযুক্ত করিয়া পাণ্ডবদিগের নিকট প্রেরণ করিলেন। তৎপরে সৈন্যসংখ্যা ও কাশিরাজদুহিতা অম্বার উপাখান। বহুবৃন্তযুক্ত সন্ধিৰি গ্রহবিশিষ্ট উদ্যোগনামক ভারতীয় পঞ্চম পর্ব নির্দিষ্ট হইল। মহর্ষি উদ্যোগপলে এক শত যড়শীতি অধ্যায় নির্দেশ করিয়াছেন। হে তপোধনগণ! উদারমতি মহাত্ম। ব্যাসদেব এই পর্বে ষটসহস্র যশত অষ্ট মবতি শ্লোক রচনা করিয়াছেন।

 অতঃপর অদ্ভুত ভীষ্মপর্ব বর্ণিত হইতেছে। এই পর্বে সঞ্জয় জখ নিৰ্মাণ বর্ণনা করেন। যুধিষ্ঠিরসৈন্য অত্যন্ত বিষাদ প্রাপ্ত হয়। দশাহ ঘোরতর যুদ্ধ হয়। মহামতি বাসুদেব অধ্যাত্ম বিদ্যা সম্বদ্ধ হেতুবাদ দ্বারা অর্জুনের মায়ামমাহজনিত বিষাদ নিরাকরণ করেন। যুধিষ্ঠিরহিতাকাঙক্ষী উদারমতি কৃষ্ণ বিশেষ পর্যালোচনা করিয়া সত্বর রথ হইতে লক্ষ প্রদান পূর্বক অতি দ্রুত গমনে প্রতোদহস্তে নির্ভয় চিত্তে ভীষ্মকে সংহার করিতে যান, এবং সকলশস্ত্রধারিশ্রেষ্ঠ অর্জুনকে বাক্যরূপ দণ্ড দ্বারা তাড়না করেন। অর্জুন শিখণ্ডিকে সম্মুখে স্থাপন করিয়া