পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পর্ব্বসংগ্রহ।
৫১

অত্যন্ত অভিমানী দুর্য্যোধন ধীমান্ ধর্ম্মরাজের তিরস্কারবাক্য সস্থ করিতে না পারিয়া হ্রদ হইতে গাত্রোত্থান পূর্বক ভীমসেনের সহিত গদাযুদ্ধ আরম্ভ করিলেন। গদাযুদ্ধকালে বলরাম তথায় উপস্থিত হইলেন। তৎপরে সরস্বতী দেবীর ও অশেষ তীর্থের পবিত্রত্ব কীর্ত্তন ও তুমুল গদাযুদ্ধ বর্ণন। ভীম অতি প্রচণ্ড গদাঘাতে যুদ্ধে রাজা দুর্যোধনের ঊরুভঙ্গ করিলেন। অদ্ভুত নবম পর্ব্ব নির্দিষ্ট হইল। এই পর্বে বহু বৃত্তান্ত সম্বলিত ঊনষষ্টি অধ্যায় সংখ্যাত হইয়াছে। এক্ষণে শ্লোকসংখ্যা কথিত হইতেছে, কৌরবদিগের কীর্তিকীর্ত্তক মুনি নবম পর্বে তিন সহস্র দুই শত বিংশতি শ্লোক রচনা করিয়াছেন।

 অতঃপর অতি দারুণ সৌতিকপর্ব্ব বর্ণন করিব। পাণ্ডবেরা রণক্ষেত্র হইতে প্রস্থান করিলে পর, কৃতবর্মা, কৃপাচার্য ও অশ্বত্থামা এই তিন মহারথ সায়ংকালে রুধিরাক্তসৰ্বাঙ্গ ভগ্নোরু অভিমানী রাজা দুর্যোধনের নিকট গমন করিলেন। উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, রাজা রণক্ষেত্রে পতিত আছেন। দৃঢ়ক্রোধ মহারথ অশ্বথামা প্রতিজ্ঞা করিলেন, ধৃষ্টদ্যুম্ন প্রভৃতি সমুদায় পাঞ্চাল ও অমাত্য সহিত সমস্ত পাণ্ডবদিগের প্রাণ সংহার না করিয়া গাত্র হইতে তনুত্রাণ উদঘাটন করিব না। রাজাকে এইরূপ কহিয়া তিন মহারথেই তথা হইতে অপব্রুান্ত হইয়া সূর্যাস্ত সময়ে বনমধ্যে প্রবেশ পূর্ব্বক গতি প্রকাণ্ড বটবিটপিতলে উপবিষ্ট হইলেন। অশ্বত্থামা তথায় রাত্রিকালে এক পেচককে অনেক কাকের প্রাণসংহার করিতে দেখিয়া পিতৃবধ স্মরণে কোপাবিষ্ট হইয়া নিদ্রান্বিত পাঞ্চালদিগের প্রাণবধ সংকল্প করিলেন। তদনুসারে শিবিরম্বারে উপস্থিত হইলেন এবং দেখিলেন, এক বিকটাকার অতি প্রকাণ্ড ভয়ানক রাক্ষস