সেনের প্রাণবধ সংকল্প করিয়া কৃষ্ণানীত লৌহময়ী ভীমপ্রতিমূর্তি ভগ্ন করেন। বিদুর অধ্যাত্ববিদ্যাসম্বদ্ধ হেতুবাদ দ্বারা শোকাভিভূত ধীমান্ ধৃতরাষ্ট্রের সাংসারিক মায়া মোহ নিরাকরণ ও তাহাকে আশ্বাস প্রদান করেন। শোকার্ত্ত ধৃতরাষ্ট্র অন্তঃপুরিকাগণের সহিত রণক্ষেত্র দর্শনার্থ গমন করেন। বীরপত্নীদিগের অতি করুণ বিলাপ এবং গান্ধারী ও ধৃতরাষ্ট্রের কোপাবেশ ও মোহ। ক্ষত্রিয়নারীগণ যুদ্ধে অপরায়ুখ পঞ্চত্বপ্রাপ্ত পিতা ভ্রাতা ও পুদিগকে দেখিতে লাগিলেন। কৃষ্ণ পুত্রপৌত্রশোককাতরা গান্ধারীর কোপ শান্তি করিলেন। পরমধার্ম্মিক মহাপ্রাজ্ঞ রাজা যুধিষ্ঠির যথাশাস্ত্র রাজাদিগের শরীরদাহ করাইলেন। প্রেততপণ আরব্ধ হইলে কুন্তী কর্ণকে স্বীয় গৃঢ়ৎপন্ন পুত্র বলিয়া অঙ্গীকার ও প্রকাশ করিলেন। মহর্ষি ব্যাস এই একাদশ পর্ব্ব রচনা করিয়াছেন। এই পর্ব শ্রবণ ও অধ্যয়ন করিলে সজ্জনদিগকে শোকে অভিভূত ও অশ্রুজলে আকুলিত হইতে হয়। ধীমান্ ব্যাসদেব স্ত্রীপর্ব্ব সপ্তবিংশতি অধ্যায় ও সপ্ত শত পঞ্চ সপ্ততি শ্লোক কীর্ত্তন করিয়াছেন।
অতঃপর শান্তিপর্ব্ব; ইহার অধ্যয়নে বুদ্ধিবৃদ্ধি হয়। ধর্ম্মরাজ যুধিষ্ঠির পিতৃ ভ্রাতৃ পুত্র মাতুল প্রভৃতির সংহার করাইয়া যৎপরোনাস্তি নিৰ্বেদ প্রাপ্ত হয়েন। শরশয্যারূঢ় ভীষ্মদেব রাজা যুধিষ্ঠিরকে রাজধর্ম্ম শ্রবণ করান। ঐ সমুদায় ধর্মজ্ঞানাভিলাষী রাজগণের অবশ্যজ্ঞেয়। ভীষ্মদেব কাল ও কারণ প্রদর্শন পূর্ব্বক আপদ্ধর্ম্ম কীর্ত্তন করেন। ঐ সকল ধর্ম্ম অবগত হইলে নর সর্বজ্ঞ প্রাপ্ত হয়। অনন্তর বিচিত্র মোক্ষধর্ম্মও সবিস্তর ব্যাখ্যাত হইয়াছে। প্রাজ্ঞজনপ্রীতিপ্রদ দ্বাদশ পর্ব নির্দিষ্ট হইল। হে তপোবনগণ! শান্তিপর্বে ত্রিশত উনচত্বারিংশৎ