পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
মহাভারত।

লইয়া যাইতে যাইতে বিপৎকালে গাণ্ডীবের পরাক্রমক্ষয় ও দিব্যাস্ত্র সমুদায়ের অস্ফূর্ত্তি অবলোকন করিলেন, এবং যাদবরমণীদিগের অপহরণ এবং প্রভুত্ব ও ঐশ্বর্যের অনিত্যতা দর্শনে সাতিশয় নিবেদ প্রাপ্ত হইয়া ধর্ম্মরাজসন্নিধানে প্রত্যাগমন পূর্বক সন্ন্যাসাবলম্বনের বাসনা করিলেন। মৌষল নামক যোড়শ পর্ব পরিকীর্তিত হইল। তত্ত্বদর্শী দ্বৈপায়ন এই পর্বে আট অধ্যায় ও তিন শতবিংশতি শ্লোক সংখ্যা করিয়াছেন। | তৎপরে মহাপ্রস্থানিক নামক সপ্তদশ পর্ব। এই পর্বে পুরুষশ্রেষ্ঠ পাণ্ডবেরা রাজ্য পরিত্যাগ করিয়া দ্রৌপদী সমতিব্যাহারে মহাপ্রস্থান গমন করেন। তাঁহাৱা লৌহিত্যসাগরতীরে উত্তীর্ণ হইয়া অগ্নির সাক্ষাৎকার লাভ করিলেন। অর্জুন মহাত্মা অগ্নির আদেশানুসারে পূজা পূর্বক তাহাকে সর্বধনুঃশ্রেষ্ঠ দিব্য গাণ্ডীব প্রদান করিলেন। যুধিষ্ঠির ভ্রাতৃগণ ও দ্রৌপদীকে ক্রমে ক্রমে নিপতিত ও নিধনপ্রাপ্ত দেখিয়া তাঁহাদিগের প্রতি দৃষ্টিপাত না করিয়া মায়া পরিত্যাগ পূর্বক প্রস্থান করিলেন। মহাপ্রস্থানিক নামক সপ্তদশ পর্ব নির্দিষ্ট হইল। তত্ত্বদশী ঋষি এই পর্বে তিন অধ্যায় ও তিন শত বিংশতি শ্লোক নিরূপণ করিয়াছেন[১]

 তৎপরে অলৌকিক অত্যাশ্চর্য স্বর্গপর্ব। মহাপ্রাজ্ঞ ধর্ম্ম


  1. (৩৬) শ্লোকনাঞ্চ শতত্রয়ম্। বিংশতিশ্চ তথা শ্লোক সংখ্যাতাসুহৃদর্শিনা। এই স্থলে যথাশ্রুত অর্থ লিখিত হইল। কিন্তু মহাপ্রস্থানপর্বে এক শত এয়োবিংশতি শ্লোকের অধিক নাই। এই নিমিত্ত টীকাকার নীলকণ্ঠ-সমাসবলে শতত্রয় এই শব্দে এক শত তিন এই অর্থ করিয়া বিংশতি সহযোগে এক শত এগোবিংশতি এই ব্যাখ্যা করিয়াছেন।