পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পৌষ্যপর্ব্ব।
৭৩

ভক্ষণ করিলেন এবং ব্যস্ততা প্রযুক্ত উথানানর আচমন করিয়া প্রস্থান করিলেন।

 কিয়ৎ ক্ষণ পরে উতঙ্ক আসনোপবিষ্ট পৌষ সমীপে উপস্থিত হইয়া যথাবিধি আশীর্ব্বাদ প্রয়োগ ও সমুচিত সম্ভাষণ পূর্ব্বক কহিলেন, আমি তোমার নিকট যাচকভাবে উপস্থিত হইলাম। রাজ। অভিবাদন করিয়া নিবেদন করিলেন, ভগবনৃ ভৃত্য কি করিবেক, অজ্ঞা করুন। উতঙ্ক কহিলেন, গুরুদক্ষিণা দিবার নিমিত্ত তোমার মহিষীর কর্ণস্থ কুণ্ডল ভিক্ষা করিতে আসিয়াছি, তাহা তুমি আমাকে দান কর। পৌষ্য কহিলেন, মহাশয়! অন্তঃপুরে গিয়া গৃহিণীর নিকট প্রার্থনা করুন। উতঙ্ক দীয় বাক্য অনুসারে অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন, কিন্তু পোষ্যের মহিষীকে দেখিতে পাইলেন না। তখন তিনি পৌষের নিকটে আসিয়া কহিলেন, আমাকে প্রবঞ্চনা করা উচিত নহে, অন্তঃপুরে তোমার মহিষী নই, তাহাকে দেখিতে পাইলাম না। পৌষ উতঙ্কবাক্য শ্রবণানন্তর ক্ষণমাত্র অনুধ্যান করিয়া কহিলেন, মহাশয়! নিঃসন্দেহ আপনি উচ্ছিষ্ট ও অশুটি আছেন, মনে করিয়া দেখুন; আমার সহধর্মিণী অতি পতিব্রতা, উচ্ছিষ্ট ও অশুচি থাকিলে কেহ তাঁহাকে দেখিতে পায় না, তিনি কখনও অশুচির দৃষ্টিগোচর হয়েন না।

 রাজবাক্য শ্রবণানন্তর উতঙ্ক স্মরণ করিয়া কহিলেন, আমি উত্থানানন্তর গমন করিতে করিতে আচমন করিয়াছি। পৌষ কহিলেন, ঐ আপনকার ব্যতিক্রম ঘটিয়াছে, উদ্ধানাবস্থায় অথবা গমন করিতে করিতে আচমন করা আর না করা দুই সমান। উতঙ্ক, যথার্থ কহিতেছ বলিয়া, প্রাম্মুখে উপবেশন ও পাণি পাদ বদন প্রক্ষালন পূর্বক নিঃশব্দ, অফেন, অনুষ্ণ, হৃদয়দেশ পর্য্যন্ত

১০